আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
edited by
আছছালামু আলাইকুম হুজুর,

অনেকদিন পূর্বে কোনো বস্তু অথবা ব্যক্তির অস্বাভাবিকতা নিয়ে একা একা কথা বলার শুরুতে “শালা” শব্দ অথবা “শালারপো” অথবা এটার মতো শব্দ ব্যবহার করি। ঘটনার মুহূর্ত সম্পূর্ণ মনে নাই।
<!--StartFragment -->

তার মধ্যে কয়েকবার এই শব্দের পড়ে আল্লাহ্&zwnj; শব্দ হঠাৎ করে চলে আসে। যেহেতু আল্লাহকে বলার উদ্দেশ্য ছিল না, তাই আল্লাহ্&zwnj; শব্দ আসলেও আমি বিষয়টা এড়িয়ে যাইতাম, তবে লজ্জিত/অনুতপ্ত হইতাম। উদ্দেশ্য ছিল অন্য কিছুকে মেনশন করে বলা, আল্লাহ্&zwnj;কে এই শব্দ বলে অপমান করার কোনো ইচ্ছা ছিল না আমার যতটুকু পরিষ্কার মনে পড়ে।

আমার এখনও মনে হয়, বস্তু অথবা ব্যক্তিকে অথবা কোনো ঘটনাকে &ldquo;শালা&rdquo; সম্বোধন করে আল্লাহ্&zwnj;কে বলার ইচ্ছা ছিল, আপাতত এটাই মনে পড়ে। আল্লাহ্&zwnj;কে অপমান করার ইচ্ছাই ছিল না।


আমার স্মরণে যা আছে তাই বললাম হুজুর। অনেকদিন পরে মনে পড়াতে পেরশানিতে আছি ঈমান নিয়ে।

হুজুর , চিন্তায় আছি অনেক। আমার ঈমান কী ঠিক আছে ? আমাকে কী আবার নতুন করে বিয়ে করতে হবে?

মসজিদের ঈমাম সাহেবকে বলেছিলাম, সে চিন্তামুক্ত থাকতে বলেছে।
<!--EndFragment -->

1 Answer

0 votes
by (678,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)

উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আল্লাহর সাথে বে'আদবি করা আপনার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, তাই আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...