আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম শাইখ, আমার বাবা একজন ব্যাংকার, তিনি জেনারেল ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করেন না, বরং এলসি সংক্রান্ত কাজ এবং ব্যাংকের গ্রাহকরা (আমদানিকারকগণ) কথামত পণ্য এনেছেন কিনা তা যাচাই করেন, তবে তবুও তিনি কতটুকু সুদের কাজের সাথে সম্পৃক্ত তা আমার সঠিক জানা নেই এবং আমার মা একজন শিক্ষক (গার্লস হাই স্কুল, যেখানে পুরুষ টিচাররাও পড়ান এবং তিনি পূর্ণাঙ্গরূপে পর্দা করেন না) , এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ

১) যেহেতু আমি একজন ছাত্র, তাঁদের কাছ থেকে পড়ালেখার খরচ নেওয়া যাবে কিনা ?(আমি মেডিকেলে পড়তে ইচ্ছুক এবং যতটুকু জানি এক্ষেত্রে খরচ বেশ হাই এবং প্রয়োজনীয় খরচ বহনের জন্য পরিবারের সাপোর্ট খুবই জরুরি)

২)তাঁদের মৃত্যুর পর তাদের সম্পত্তি উত্তরাধিকারী হওয়া কি জায়েয হবে?

৩)বিয়ের সময় প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য তাঁদের কাছ থেকে ফিন্যানশিয়াল সাপোর্ট নেয়া যাবে কিনা?

1 Answer

+1 vote
by (678,990 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/398

যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনার বাবার কাজে সুদের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না? সেটা যাচাই-বাছাই করে নিবেন। যদি সুদের সম্পৃক্ততা থাকে, আর আপনি সাবালক উপার্জনক্ষম হন, তাহলে বাবার হারাম মাল থেকে গ্রহণ করা জায়েয হবে না। আপনার মা যদি সহশিক্ষায় শিক্ষকতা করেন, তাহলে পর্দার খেলাফ চলাফেরার জন্য উনার অবশ্যই গোনাহ হবে তবে উনার ইনকাম হারাম হবে না। সুতরাং আপনি আপনার মায়ের ইনকাম থেকে নিজ খরচাপাতি পরিচালনা করতে পারবেন। 

(২) আপনার বাবার কাজে যত পার্সেন্ট সুদ সম্পর্কিত হবে, তত পার্সেন্ট টাকাকে সদকাহ করতে হবে। এই টাকার ওয়ারিছ কেউ হবে না। আপনার মায়ের ইনকামের ওয়ারিছ আপনি হবেন।

(৩) বিয়ের সময় প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য বাবার হারাম টাকা থেকে ফিন্যানশিয়াল সাপোর্ট নিতে পারবেন না।তবে হ্যা, মায়ের কাছ থেকে নিতে পারবেন।

মোটকথা, আপনার মায়ের ইনকাম হালাল। এবং বাবার কাজের যত পার্সেন্ট সুদ সম্পর্কিত হবে, তত পার্সেন্ট টাকা হারাম। আর সুদ সম্পৃক্ততা নেই, এমন কাজের ইনকাম হালাল হবে ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
jazakallahu khairan

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...