জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
পুরুষের জন্য রূপার আংটি ছাড়া অন্য কোন ধাতুর আংটি পরিধান করা জায়েজ নয়।
সাড়ে চার গ্রামের কম ওজনের রূপার আংটি পুরুষের জন্য জায়েজ। অন্য কোন ধাতুর মিক্সার থাকলেও যদি তা মূলত রূপার আংটি হয়,অর্থাৎ রূপার দ্বারা পূর্ণ প্রলেপ থাকে, তাহলে ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। তবে রূপার পরিমাণ এক মিসকাল তথা সাড়ে চার গ্রামের বেশি হতে পারবে না। বেশি হলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। [তুহফাতুল আলমায়ী-৫/১০৮]
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144012200903 নং ফতোয়া,এবং দারুল উলুম দেওবন্দ এর 8829 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
বিস্তারিত জানুনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلًا، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ شَبَهٍ، فَقَالَ لَهُ: «مَا لِي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ الْأَصْنَامِ» فَطَرَحَهُ، ثُمَّ جَاءَ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَ: «مَا لِي أَرَى عَلَيْكَ حِلْيَةَ أَهْلِ النَّارِ» فَطَرَحَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مِنْ أَيِّ شَيْءٍ أَتَّخِذُهُ؟ قَالَ: «اتَّخِذْهُ مِنْ وَرِقٍ، وَلَا تُتِمَّهُ مِثْقَالًا»
একদা এক ব্যক্তি পিতলের আংটি পরিহিত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলে তিনি তাকে বলেনঃ আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? এ কথা শুনে লোকটি আংটি ছুঁড়ে ফেলে দিলো। অতঃপর সে একটি লোহার আংটি পরে এলে তিনি বলেনঃ আমি তোমার নিকট জাহান্নামীদের অলংকার দেখছি কেন? লোকটি এটিও ছুঁড়ে ফেলে দিলো। লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে কিসের আংটি ব্যবহার করবো? তিনি বলেনঃ রূপার আংটি ব্যবহার করো, তবে তা যেন এক মিসকাল এর অধিক না হয়।(সুনানে আবি-দাউদ-৪২২৩)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ছেলেদের ডায়মন্ড পড়া জায়েজ নেই।
(০২)
বিয়েতে গোল্ড এর রিং এর পরিবর্তে ডায়মন্ড এর রিং পাত্র পাত্রীকে দিতে পারবে।
তবে পাত্রী পাত্রকে ডায়মন্ড এর রিং দিবেনা। দিলে সেটি ব্যবহার করা পাত্রের জন্য জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে হয় কাউকে দিয়ে দিতে হবে অথবা বিক্রয় করতে হবে।
(০৩)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﻴْﺘُﻢُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻓَﺎﺫْﻛُﺮُﻭﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻗِﻴَﺎﻣًﺎ ﻭَﻗُﻌُﻮﺩًﺍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺟُﻨُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺍﻃْﻤَﺄْﻧَﻨﺘُﻢْ ﻓَﺄَﻗِﻴﻤُﻮﺍْ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣَّﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা আন-নিসা-১০৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মহিলাদের জন্য তো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বের হলে এমন সময় বের হতে হবে, যাতে নামাজের কোন সমস্যা না হয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে নামাজ মিস গেলে আপনার মারাত্মক গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে নামাজটি কাজা করে নিলেও বিনা ওযরে নামাজ কাজার দরুন আখেরাতে কঠিন শাস্তি হবে।