আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 

১। আমার মেয়ে অসুস্থ ছিলো তাই আমি আল্লাহর রাস্তায় একটি গরু দেই।এখন আমি বিদেশে আছি বলেছি ২ভাগ করে এক ভাগ এতিমখানায় ও একভাগ গরীব অসহায় ও আমাত আত্মীয়স্বজনদের বন্টন করে দিতে।

যেহেতু আমার বাবার বাড়িও আত্মীয়ের মধ্যে পড়ে বা আমার অন্যান্য আত্মীয় ও অবস্থায় ভালো তাহলে কি এই মাংস দেয়া যাবে? 

গরুর ভুরি,পা ইত্যাদি বলেছি মা রেখে দিতে তাহলে কি গুনাহ হবে? 

২।একজন সন্তান এক সময় মা ও ভাইয়ের সব খরচ দিয়েছে ভাইয়ের ফ্যামেলির ও। মা সেই সন্তান এর টাকা জমিয়ে রাখতেন দেশের ছেলের বা নাতির জন্য। একটা সময় প্রবাসী ছেলে বিয়ে করে সন্তান হয় তাদের বিদেশে আনার পর তারও খরচ বাড়ে তখন সে বলে যে অন্য ভাইরা মাকে ও দেশের সেই ভাইকে টাকা দিক মানে সে একা দিতে পারছে সবাই মিলে দেশে টাকা দিতে।এবং বিদেশের ২ভাই প্রতি মাসে ২৫-৩০ হাজার দিতেন মায়ের খরচ হিসেবে। 

দেশের ভাই সেই টাকা থেকে নিজের ফ্যামিলির উপর খরচ করতেন। এবং মায়ের ঠিকমতো চিকিৎসা করাতেন না বলতেন যে প্রবাসী ভাইয়েরা কম টাকা দেয় তারজন্য ডাক্তার দেখানো হচ্ছে না।কিন্তু দেশে ভাই সম্পূর্ণ সুস্থ সারাদিন বাড়িতে বসে থাকেন আর চুগলখোরী করেন নিজের ভাই বোন নিয়ে।

তার গাফিলতির কারনে মা একদিন হঠাৎ মারা যান সে প্রবাসী ভাইদের জানায় নি যে মা এমন অসুস্থ মারা যাওয়ার পর বলে ভাইরা টাকা না দেয়ায় মা মারা গেছেন।এবং সব দোষ এখন সেই এক ভাইয়ের উপর পরছে যে কেনো সে আরো টাকা দেয় নি কেনো সে একা টাকা দিতে অস্বীকার করেছে।

এখন মারা মারা যাওয়ার কারণে কি সেই ছেলের গুনাহ হবে?? যিনি বলেছেন বাকি বিদেশি ছেলেরাও মাকে টাকা দিক। 

উল্লেখ্যঃ উনি প্রতি মাসেই একটা এমাউন্ট পাঠিয়ে দিতেন যদিও অন্যান্যরা কোনো কোনো মাসে দিতেন না দেশে।

এখন সবাই বলছে তুই ছোট মা তোকে অনেক কষ্টে বড় করেছেন এইজন্য তুর উচিত ছিলো বেশি দেয়া।যদিও মা সব বাচ্চাদেরই কষ্টে পালন করেন বরং বড়দের অনেক বিলাসিতায় বড় করে ছিলেন ছোটবেলায়।তার তুলনায় ছোট ছেলে অনেল কষ্টে বড় হয়েছেন।

৩।দেশে থাকতে অনেক সময় মায়ে কথা কথা কাটাকাটি হতো।ছেলে একদিন মাকে গালিও দেন এবং পরের দিন আবার মা ছেলের সাথে ঝগড়া করেন দেশের ভাইয়ের বউ নিয়ে এবং বিনা কারণেই সে ২জন ছেলের উপর অপবাদ দেব যে রাতে সে মাকে মারছে।এই কথা শুনে ছেলের রাগ হয় ও পাতলা ফমের টুকরো দিয়ে ঠিল মারেন মাকে উদ্দেশ্য করে যদিও মায়ের উপরে না পড়ে হাতে টাচ করে মাটিতে পড়ে। এই নিয়ে ছেলে খুব অনুতপ্ত ছিলেন এবং পরদিনই মাকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান।মাও কমা করে দেন।এখন এই আচরণ এর কারণে কি তার গুনাহ হবে??

৪।যারা কারো নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়।অন্যের কাছে অন্যের নামে বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে তাদের দোষ দেখানোর জন্য যদি আমি তাদের বিচার করতে পারে এমন কাউকে তাদের কৃতকর্মের অডিও দেই তাহলে কি গুনাহ হবে? বা এইটা বলি যে তারা যেমন দেখায় আসলে তারা তেমন না এই বিষয়ে প্রমাণ দিয়ে কথা বলি তাহলে কি সেটা গীবত হবে?

৫।আমি যদি এই বিষয়ে আমার কাছে কারো সাথে ডিসকাস করি যে  'সে এইভাবে বলেছে এই কথা বলেছে' এখন আমি কি করবো তাহলে তাকে বলা কি গীবত হবে? 

1 Answer

0 votes
by (677,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলামী শরীয়তে মান্নত করা জায়েজ আছে।
তবে মান্নত শুদ্ধ হবার জন্য কতিপয় শর্ত রয়েছে। যথা-
(১) আল্লাহর নামে মান্নত করতে হবে।
(২) আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মান্নত হতে পারবে না। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে মান্নত করা গোনাহ।
(৩)মান্নত হতে হবে ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত বিষয়ে। যেমন নামায, রোযা, হজ্ব, কুরবানী ইত্যাদি।
(৪) ইবাদতও এমন হতে হবে যা কখনো ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যে ইবাদত কখনো ফরজ বা ওয়াজিবের স্থান পায় না, এমন ইবাদতের মান্নত করলেও তা শুদ্ধ হবে না।
(قوله باطل وحرام) بوجوه، منها أنه نذر لمخلوق والنذر للمخلوق لا يجوز لأنه عبادة والعبادة لا تكون لمخلوق، (رد المحتار، كتاب الصوم، مطلب فى النذر الذى يقع للاموات من اكثر العوام-2/439)
وفى البدائع: ومن شروطه أن يكون قربة مقصودة فلا يصح النذر بعيادة المريض والوضوء والاغتسال، (رد المحتار، كتاب الايمان-3/735)
وفى رد المحتار: وكان من جنسه واجب أى فرض……… كصوم وصلاة وصدقة……… ولم يلزم الناذر ما ليس من جنسه فرض، (رد المحتار، كتاب الايمان-3/735

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি শুধুমাত্র আল্লাহর রাস্তায় মান্নত মানেন, তাহলে উক্ত পশু শুধুমাত্র গরীব মিসকিনদেরকেই দিতে হবে। আর যদি আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বন্টনের নিয়ত করেন, তাহলে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা গরীব তাদেরকেই খাওয়াতে পারবেন। ধনীদেরকে পারবেন না।কেননা মান্নতের গোশত একমাত্র গরীবদেরকেই দিতে হয়। 
(২) দেশে হোক বা বিদেশে সকল ছেলের দায়িত্ব হচ্ছে মাকে সমান ভাবে লালন পালন করা। জন্মমৃত্যু আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে, সুতরাং এজন্য কাউকেই দোষারোপ করা যাবে না।
(৩) মাকে কষ্ট দিলে সব আ'মল বৃথা যাবে। মাকে কষ্ট দেয়া যাবে না। কষ্ট দিলে মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে এটা গীবত হবে না।
(৫) জ্বী, এটাও গীবতের অন্তর্ভুক্ত । আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। ভবিষ্যতে আর কখনো এমনটা বলবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...