আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
ছোটোবেলা থেকে আমার ধৈর্য কম।কিছু হলেই রাগ হতো।বড় হতে হতে বুঝতে পারছি এসব ঠিক না।আমার কারনে আশেপাশের মানুষ কষ্ট পায়।আল্লাহর কাছে অনেক দুআ করি যেনো আমার ধৈর্য বাড়ায় দেন।কিন্তু কোনো কিছুই ঠিক হচ্ছে না। ইদানীং নিজের বাবা মা এর কোনো কথাই সহ্য হচ্ছে না।তারা খারাপ আচরণ করলে বা ভালো আচরণ করলেও কিছুই আমার ভাল্লাগে না।গালি আসে। কোনো কারণ ছাড়া নিজের উপর রাগ হয়।কয়দিন ভালো থাকি সহ্য করি।আবার নষ্ট হয়ে যায়।আমার মনটা বিষাক্ত হয়ে গেছে মনে হয়।রাগ হলে বাবা মায়ের মৃত্যু কামনা করি।যখন আমি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকি তখন এসব ভাবলে অনেক খারাপ লাগে।আমার বিয়েও হচ্ছে না,মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি আমি সহবাস করতেছি।তবে কেউ আমার সাথে করছে কিনা তা দেখি না।আমার সন্দেহ হয় আমার সাথে কিছু আছে নাকি।যে আমার থেকে আমার প্রিয় মানুষদের সরায়ে নিতে চাচ্ছে। আমার কারো সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলেও একটা সময় ঝগড়া লেগে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।আমার নিজেরও অনেক দোষ আছে।কিন্তু আমি চেষ্টা করেও পারিনা ঠিক করতে। আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত এসব ভেবে। আমি কি করবো,আমি দয়া করে উপায় বলুন।অন্তত বাবা মায়ের প্রতি রাগ টা কমুক।তবে আমার রাগ বাইরে দেখাই না।সব মনেই রাখি।এজন্য সবার প্রতি রাগ জমতে জমতে খুবই খারাপ অবস্থা। যদিও রাগার তেমন কোনো লজিকাল কারণ সবসময় থাকে না।কিন্তু আমি নিজের মনকে নরম করে ভাবতে পারিনা।দয়া করে আমাকে কোনো সাজেশন দিবেন।আমার জন্য দুআ করবেন

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাগ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ও ত্বরিকা নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস লক্ষ্যণীয়--
সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَجُلَانِ يَسْتَبَّانِ فَأَحَدُهُمَا احْمَرَّ وَجْهُهُ وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنِّيْ لَاعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ لَوْ قَالَ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ فَقَالُوْا لَهُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ فَقَالَ وَهَلْ بِيْ جُنُوْنٌ
 তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন দু’জন লোক গালাগালি করছিল। তাদের এক জনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে গিয়েছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন একটি দু’আ জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ে তবে তার রাগ দূর হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে আ‘ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তান’’-আমি শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। তবে তার রাগ চলে যাবে। তখন তাকে বলল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি আল্লাহর নিকট শয়তান থেকে আশ্রয় চাও। সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি? (৬০৪৮, ৬১১৫) (মুসলিম ৪৫/৩০ হাঃ ২৬১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৪৯)সহীহ মুসলিম-২৬১০,ফাতহুল বারী-৬/৩৩৭)


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
وقال صلى الله عليه وسلم : إذا غضب الرجل فقال أعوذ بالله ، سكن غضبه 
যখন কোনো মানুষ রাগান্বিত হয়,তখন যেন সে বলে,আউযু বিল্লাহ।নিশ্চয় তার রাগ নিস্তেজ হয়ে যাবে।(জামে সগীর-৬৯৫)

চুপ থাকলে রাগ কমে যায়,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( إذا غضب أحدكم فليسكت ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন কেউ রাগান্বিত হয়,তখন সে যেন চুপ থাকে।(মসনদে আহমদ-১/৩২৯,সহীহুল জামে-৬৯৩,৪০২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/13513


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...