আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
59 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

আমার এক ফ্রেন্ড,,, মেয়ে। সে ১.৫  বছর + আগে মুসলিম হয়েছে। দাওয়াত টা একজন মুসলিম ছেলেই দিয়েছিল।  পরবর্তীতে আমার সেই ফ্রেন্ড তাকেই বিয়ে করে এই ভেবে যে তাকে তো মুসলিম ঘরেই যেতে হবে,,একজন এর আওতায় থাকতে হবে।  ছেলেটিও ভালোই ছিল। তবে দু জন ই জানতো যে স্বামী স্ত্রীর ভরনপোষণ এর দায়িত্ব নিতে পারবে না,,,,দীন পালনের পরিবেশ দিতে পারবে না,,,,খুব বেশি ভাবনা চিন্তা করে নি কেউ ই। তবে ১.৫ বছর হয়ে যাচ্ছে এখনও ছেলেটি দায়িত্ব নিতে পারছে না,,কারন এখন ও সে ছোট,,, আর কোনো ঐরকম ইনকাম সোর্স নেই। ছেলেটির পরিবার সচ্ছল তবে ওনার মা বাবা নাকি বিশের কথা জানলে মানবেন না এখন,,,মেয়েটির মা বাবাকে ইনফর্ম করে দিবে,,, এটা ছেলেটি বলেছে আমার ফ্রেন্ড কে। আমার ফ্রেন্ড ও বাড়ির বড় মেয়ে,,,অনেক দায়িত্ব আছে,, তার পরিবারের আশা আছে অনেক,, তাই বাড়ি ছাড়ার সাহস করতে পারছিল না। তবে এর মাঝে রাগারাগি বসত ছেলেটা মেয়েটাকে এক তালাক দিয়ে দেয় এবং পরে বলে যে সে আবার বিয়ে করবে,,,(আমার ফ্রেন্ড এর ইদ্দত পালন নেই।) , আমার ফ্রেন্ড ও রাজি হয়। তবে,,, তারা এক শহরে থাকে না,,,তাই একই মজলিস এ বিয়ের সুযোগ নেই। শুরু থেকেই তারা কখনো একসাথে ছিল না। তবে প্রথম যখন বিয়ে হয় এক শহরে ছিল। এখন আমার ফ্রেন্ড এর সাথে তো ওই ছেলেটির যোগাযোগ আছে। তবে বিয়ে রিলেটেড কথা যেমন আমার ফ্রেন্ড তাড়াতাড়ি বিয়ের তাগিদ দিতে বারবার মেসেজ দিয়েছে,,শহর আলাদা হওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই বছর গুলোতে,,,, ছেলেটির আচার ব্যবহার,,,রাগ,,,দীনদারিতার অভাব ছিল,,,, কিছুটা। ছেলেটা ভালো তবে পুরোপুরি ইসলামিক মাইন্ডেট না সে। তার পরিবার ও তেমন দীনদার হলে তো ছেলেটি পরিবার জানিয়ে বিয়ে করতে পারতো। ছেলেটির মা জানে একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক,,যদিও তা মিথ্যা।কিন্তু ওনার এতে তেমন বিধিনিষেধ নেই। আমার ফ্রেন্ড কে বাসায় নিলে তো আইনী সমস্যা হবে,,,,, তাই নাকি ওনার মা বাবা এখনই এসব মানবে না। তো এখন পরিস্থিতি টা এমন যে,,, আমার ফ্রেন্ড এর কোনো অভিভাবক নেই যে সে কোনো হেল্প পাবে,,তার বিয়ের কথাটা অনেক পিছিয়ে গেছে,,, ছেলেটা বলছে,,,এখন যেহেতু সম্ভব ই না,, তা হলে (এত)  দিন পরে করব,,,আর যদি এর আগে সুযোগ হয়,,, তাহলে আগে করব। মানে কোনো নিশ্চিতা নেই,,,, যে কবে হবে। আবার বিয়ে ও করবে,,,, ছাড়বে না। এমন অবস্থায় ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ তো হারাম হবে। আমার ফ্রেন্ড এখন ভাবছে এমন একজনকে বিয়ে করা কল্যাকর হবে কিনা,,,,,বিয়ের পর খুব শান্তিতে ছিল না,, আমার ফ্রেন্ড,,,, মুসলিম হওয়ার আগের কিছু বিষয় নিয়ে খুব অশানৃতি করেছে সারাবছর,,,যদিও সে আগেই জানতো। পরনারীর সাথে তুলনা করেছে,,,,,এলাকার কোনো এক দীনদার মেয়ের সাথে। তো এখন আমার ফ্রেন্ড এক তালাক নিয়ে বসে আছে। তার কোনো অভিভাবক নেই যে হেল্প করবে, আর আগের স্বামীকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করাও সম্ভব না,,,,আর জানে না,, বিয়ের পর শান্তি পাবে কিনা। তবে ও ওই ছেলেটিকে বিয়ে করতে চায়,ছেলেটিও চায়,,,,,কিন্তু চিন্তায় আছে যে বিয়ে করে শান্তি পাবে কিনা। আর ছেলেটির সাথে তো এখন একটা কথা বলাও ঠিক হচ্ছে না। এখন সে কি করবে। খুবই টেনশনে আছে। ওর কি একা একাই আল্লাহর উপর ভরসা করে এখন চলা উচিত,, নাকি বিয়ে ফিক্সড রেখে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া উচিত।
by (1 point)
আপনার ফ্রেন্ডের জন্য শুভ কামনা। 

1 Answer

0 votes
by (675,300 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নারীর জন্য পর্দা করা ফরয।পর্দার সারমর্ম হল,ফি মিক্সিং পরিবেশ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে সর্বদা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা।পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8477

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নওমুসলিম বান্ধবীকে আল্লাহ সাহায্য করুক। আপনারা যারা তার পরিচিত আছেন, আপনাদের উপর ওয়াজিব যে, এই নওমুসলিম মেয়েটির সুখে দুঃখে সদাসর্বদা তার পাশে থাকবেন। তার সকল প্রকার কঠিন সময়ে তার সাথী হবেন। ফান্ড কালেকশন করে তাকে সহযোগিতা করবেন। 

যেহেতু বিয়ের পূর্বে প্রেম ভালবাসা হারাম। তাই আপনার নওমুসলিম বান্ধবী বিয়ের ডেইট ফিক্সড করে এখনই হারাম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবে। আল্লাহ তাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...