বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী (রহ.) বলেন, পবিত্র কোরআন দ্বিধাহীনভাবে সম্মান করা ও এর সুরক্ষার ব্যাপারে সবার সচেষ্ট হওয়া ওয়াজিব।
উম্মাহর মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে যে কেউ কোরআনের সর্বসম্মত কোনো অক্ষর অস্বীকার করলে বা কোনো অক্ষর বৃদ্ধি করলে, যা আগে কেউ পড়েনি অথচ সে এ বিষয়ে অবগত তাহলে সে কাফির। (আল-মাজমুউ, পৃষ্ঠা : ১৯২/৩)
আল্লাম কাজি ইয়াজ (রহ.) বলেন, কেউ কোরআন বা এর কোনো অক্ষর অস্বীকার করলে তার কুফরির ব্যাপারে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘কেউ কোরআন বা মাসহাফ বা এর সামান্য অংশ নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বা গালমন্দ করে বা এর কোনো অক্ষরের বিরোধিতা করে বা এমন কিছু মিথ্যারোপ করে যে ব্যাপারে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে কিংবা এমন কিছু সাব্যস্ত করে, যার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ সে এ বিষয়ে অবগত, তাহলে সে মুসলিম ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাফির বলে গণ্য হবে। (আল-শিফা, পৃষ্ঠা : ১১০৫)
ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) বলেছেন, কেউ যদি মনে করে কোরআনের কিছু অংশ অপূর্ণ রয়েছে বা এতে বৃদ্ধি করা হয়েছে বা এর কিছু আয়াত গোপন রয়েছে অথবা মনে করে যে তার কাছে এমন ব্যাখ্যা আছে, যার কারণে আমলের প্রয়োজন হবে না, তাহলে নিঃসন্দেহে সে কুফরিতে রয়েছে। (আস-সারিম আল-মাসলুল, পৃষ্ঠা : ১২১/৩)
ویکفر إذا أنکر آیةً من القرآن". ( البحر الرائق : باب أحکام المرتدین : 5/205)
"أنکر آیةً من القرآن کفر". ( شرح الفقه الأکبر لملا علي القاری ص: 167)(وكذا في الفتاوى الهندية، 2/266 رشیدیه) فقط
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বীন যাদুকে অস্বীকার কররে ঈমান বাকী থাকবে না।