আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (9 points)

কথিত আধুনিক তথা ধর্মহীন শিক্ষায় কুশিক্ষিত সম্প্রদায়ের অনেকেই জিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, একে মিথলজিক্যাল বিষয় মনে করে। পাশাপাশি তারা যাদুর অস্তিত্ব‌ও অস্বীকার করে। কুরআন-সুন্নাহতে থাকা এসবের সুস্পষ্ট অস্তিত্বের দলিলকে মূর্খতা মনে করে। জিন ও যাদুর বর্তমান অস্তিত্বের অনুভবকে হ্যালুসিনেশন ও মানসিক রোগ বলে অস্বীকার করে। এধরনের ব্যক্তিদের মুরতাদ সাব্যস্ত করতে কোনো বাধা আছে? এদের সাথে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্পর্ক কেমন হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (670,770 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী (রহ.) বলেন, পবিত্র কোরআন দ্বিধাহীনভাবে সম্মান করা ও এর সুরক্ষার ব্যাপারে সবার সচেষ্ট হওয়া ওয়াজিব।
উম্মাহর মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে যে কেউ কোরআনের সর্বসম্মত কোনো অক্ষর অস্বীকার করলে বা কোনো অক্ষর বৃদ্ধি করলে, যা আগে কেউ পড়েনি অথচ সে এ বিষয়ে অবগত তাহলে সে কাফির। (আল-মাজমুউ, পৃষ্ঠা : ১৯২/৩)

আল্লাম কাজি ইয়াজ (রহ.) বলেন, কেউ কোরআন বা এর কোনো অক্ষর অস্বীকার করলে তার কুফরির ব্যাপারে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘কেউ কোরআন বা মাসহাফ বা এর সামান্য অংশ নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বা গালমন্দ করে বা এর কোনো অক্ষরের বিরোধিতা করে বা এমন কিছু মিথ্যারোপ করে যে ব্যাপারে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে কিংবা এমন কিছু সাব্যস্ত করে, যার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ সে এ বিষয়ে অবগত, তাহলে সে মুসলিম ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাফির বলে গণ্য হবে। (আল-শিফা, পৃষ্ঠা : ১১০৫)

ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) বলেছেন, কেউ যদি মনে করে কোরআনের কিছু অংশ অপূর্ণ রয়েছে বা এতে বৃদ্ধি করা হয়েছে বা এর কিছু আয়াত গোপন রয়েছে অথবা মনে করে যে তার কাছে এমন ব্যাখ্যা আছে, যার কারণে আমলের প্রয়োজন হবে না, তাহলে নিঃসন্দেহে সে কুফরিতে রয়েছে।  (আস-সারিম আল-মাসলুল, পৃষ্ঠা : ১২১/৩)


ویکفر إذا أنکر آیةً من القرآن". ( البحر الرائق : باب أحکام المرتدین : 5/205)

"أنکر آیةً من القرآن کفر". ( شرح الفقه الأکبر لملا علي القاری ص: 167)(وكذا في الفتاوى الهندية، 2/266 رشیدیه) فقط

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বীন যাদুকে অস্বীকার কররে ঈমান বাকী থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...