জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «صنفان من أهل النار لم أرهما، قوم معهم سياط كأذناب البقر يضربون بها الناس، ونساء كاسيات عاريات مميلات مائلات، رءوسهن كأسنمة البخت المائلة، لا يدخلن الجنة، ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,জাহান্নামের দু'টি দল,যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি।(ক)ঐ দল যাদের সাথে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দ্বারা তারা লোকদিগকে প্রহার করবে।(খ)ঐ সমস্ত পোশাকধারী উলঙ্গ মহিলা,যারা আকৃর্ষিত হবে এবং পুরুষদেরকে আকর্ষৃত করবে।তাদের মাথা উঠের পিঠের মত কুজো এবং আকর্ষনকারী হবে।তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।এমনকি তারা তার সুঘ্রাণ ও পাবে না।অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দূরত্ব থেকে সহজেই পাওয়া যাবে।
(সহীহ মুসলিম-২১২৮)
নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ এভাবে বিজনেস করাতে আপনার গুনাহ হবেনা।
এক্ষেত্রে যারা বোরখা বিক্রি করে মডেল মেয়েরা পর্দা করে সামনে আসে বোরখা দেখায়।এক্ষেত্রে তাদের গুনাহ হবে।
(০২)
ওদের পোস্টে আপনি লাইক-কমেন্ট করলে গুনাহ হবেনা।
(০৩)
জায়েজ হবেনা।
তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও (সম্পূর্ণ টাক হওয়ার) অনুমতি রয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
গোশতে আল্লাহর নাম থাকলে উক্ত গোস্ত ইত্যাদি খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। বরং বরকতের নিয়তে খুশি মনেই খাওয়া উচিত। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া-২৪/৭৬]
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
বৈধ যেকোনো শর্ত দিতে পারবে। যেমন পাত্রী বলতে পারবে স্বামীর বাসায় তাকে পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশ করে দিতে হবে, গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে যেন চলা যায় এমন পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে, এ ধরনের শরীয়ত সম্মত বৈধ যে কোন শর্ত পাত্রী দিতে পারবে।
(০৬)
স্বামী পরকিয়া করতে পারবে না,এ শর্ত পাত্রী দিতে পারবে।
দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেনা,এ শর্ত পাত্রী দিতে পারবেনা।
আমার ইনকাম থেকে আমার পরিবারকে খরচা দিলে স্বামীর আপত্তি রাখা যাবে না,এ শর্ত পাত্রী দিতে পারবে।
(০৭)
স্ত্রী যদি বিয়ের সময় শর্ত দিয়ে রাখে যে, স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে না। আর স্বামী যদি সব শর্ত সম্মত হয়ে বিয়ে করে। তাহলে পরবর্তীতে স্বামীর ২য় বিবাহের জরুরত হলে শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে শরীয়তের সমস্ত শর্ত দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে।
স্বামী যদি ২য় শর্ত ও ভঙ্গ করে তাহলে শর্ত ভঙ্গের গুনাহ হবে,তবে শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে শরীয়তের সমস্ত শর্ত মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করলে এবং আজীবন উভয় স্ত্রীর মাঝে সমতা বজায় রেখে চলতে পারলে ও শরীয়তের সমস্ত শর্ত মেনে চলতে পারলে এতে বিয়ে করার কোনো গুনাহ হবেনা।
শুধু শর্ত ভঙ্গের গুনাহ হবে।