আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একটি স্বনামধন্য অনলাইন প্রতিষ্ঠানে অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতেছি। এখানে ক্লাসে উস্তাযের কাছে সরাসরি পড়া দিতে হয়। আমরা কয়েকজন বোন কন্ঠের পর্দা রক্ষার্থে সরাসরি পড়া দেই না। কিন্তু পড়াশোনা খাতিরে ইনবক্সে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেই হয় অথবা হোমওয়ার্ক দিলে সেটা কারেকশন করে দেয়ার জন্যও উস্তাযদের ইনবক্সে নক দেয়া হয়।

যদিও উস্তাযার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু উস্তাযারা খুব বেশি সময় দেন না।

যার কারণে উস্তাযদের সাথে ইন্টারেকশন করতে হয়।


যদিও এই একাডেমীতে অনেকবারই এই বিষয়টা উঠে এসেছিলো যে এভাবে উস্তাযদের সাথে সরাসরি ছাত্রীদের ইনবক্সে ম্যাসেজ আদান প্রদান করে পড়াটা কতটুকু ঠিক। কিন্তু এই ব্যাপারে তাদের তরফ থেকে শুধু যারা কন্ঠের পর্দা রক্ষা করতে তাদের সুযোগ দেয়া ব্যতীত এক্সট্রা আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি যাতে কোনো ফিতনার সুযোগ না তৈরি হয়।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, কেউ যদি সর্বোচ্চ তাক্বওয়া অবলম্বন করতে চায় তবে কি এই প্রতিষ্ঠানে পড়া উচিত হবে? নাকি এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেয়াটাই উত্তম হবে? যদি একটু পরামর্শ দিতেন।

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১)ফিতনার অাশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২)যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩)মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪)মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
(৫)এছাড়া ফিতনামুক্ত পরিবেশ গড়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/4193

ছাত্রী পড়ানো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2542


প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনারা উস্তাযার সাথেই যোগাযোগ রাখবেন।তারা শত ব্যস্ত হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। যদি তারা উচ্ছ পর্যায়ের অভিজ্ঞ না হন, তাহলে গ্রুপের মাধ্যমে উস্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা যাবে। প্রাইভেটে কথা বলা কখনই উচিত হবে না। প্রতিষ্টানকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না বরং আপনারা নিয়মকে পরিবর্তন করে নিবরন।জাযাকুমুল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...