আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি আর আমার স্বামী দুজনেই ডাক্তার , প্রাকটিসিং আলহামদুলিল্লাহ। বিয়ের  ৮ বছর চলছে।একটা সন্তান আছে  আমাদের।  আমার স্বামী আমাকে শুরু থেকেই কোন সম্মান করতো না, তার ফ্যামিলির সবার সামনে, আমার ছোট ছোট বিষয়, দোষ ত্রুটি সমস্ত সবকিছু শেয়ার করত এবং করে।  প্রতিদিন ভিডিও কলে, টপ টু বটম সমস্ত কথা জানায়।প্রথমদিকে প্রতিবাদ করলেও (বুঝিয়ে বলতাম) তারা বলে, তারা অনেক বেশি কানেক্টেড, সেজন্য সব কিছু শেয়ার করে। সব সময় তারা নেগেটিভ চর্চা করে। আমার স্বামী, প্রতিটা কাজে আমার ভুল ধরে, সব সময়, কেন এটা করলাম কেন এটা করলাম না, এগুলি নিয়ে কথা বলতে থাকে। মনটা যখন ভালো থাকে, সময় এগুলি শুনতে শুনতে অত মন খারাপ হয়ে যায়। আমার কোন একটা জিনিস তার কাছে ভালো নেই। সব বিষয় নিয়ে, এত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এমনকি আমার পরিবারের, ছোট ভাই বোনদের নিয়েও তার কমপ্লেইনের শেষ নেই। এভাবে করতে করতে তার উপর থেকে আমার মন উঠে গেছে। এত কান্না করেছি, এই আট বছরে, তা বলে শেষ করতে পারবো না। বিয়ের পরে অনেক দিন বাবার বাড়িতে ছিলাম বাধ্য হয়ে। অনেক কষ্ট পেয়েছি তার থেকে। তার প্রতিটা কথায় এতটা কষ্ট পাই, বুক ফেটে কান্না আসে।  আগে তার জন্য অনেক অপেক্ষা করতাম, তার সময় পাওয়ার জন্য। কিন্তু এখন সে বাসায় থাকলে বিরক্ত লাগে, নিজের মত সময় কাটাতে পারিনা। তার কথা মনে হলেই চোখ দিয়ে অজান্তে পানি চলে আসে। এতটা কষ্ট পেয়েছি। অনেকবার তার ফ্যামিলি বসেছে, আমার ফ্যামিলি বসেছে আমাদের ব্যাপারটা নিয়ে, কিন্তু কিছু বুঝে কোন লাভ হয়নি। উনি উনার ফ্যামিলি গত ভাবেই এরকম। উনার ফ্যামিলি মেম্বারস রা আমাকে দোষ দেয়। আমি অহংকারী মানিয়ে নিতে পারি না ইত্যাদি।  উচ্চশিক্ষার একটা কোর্সে ছিলাম। তার সাথে আমার, কোন কিছুই ঠিক যাচ্ছিল না,  নানা কারণে কোর্স ছেড়ে বাসায় থাকি। কিন্তু টানা এসব কথা, নিতে খুব কষ্ট হয়।

 সাহাবিয়া জিন্দেগি যাপন করতে চাই,  সহিহ   পর্দা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কণ্ঠের পর্দা, তাহাজ্জুদ  নামাজ ইত্যাদি সমস্ত সব দিক থেকে  চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এই দিকটা ঠিক করতে পারছিনা কোনভাবেই। তার সামনে, কোন কথাই মুখ থেকে বের হয় না। তার মুখটা দেখলেই চোখ দিয়ে পানি ঝরে। কি করতে পারি এই বিষয়টা নিয়ে ? আমার প্রতিটা কথায় দোষ ধরে, যদিও কথা ঠিক মতো গুছিয়ে বলতে পারিনা।  এ অবস্থায় কি করা উচিত?  কিভাবে নিজেদের সমস্যা উত্তরণের চেষ্টা করব?  আমি একা চেঞ্জ হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু তার কথায় আবারো ভেঙ্গে  পড়ি। নিজের কনফিডেন্স লেভেল একেবারে জিরো। সবদিক থেকে ঠিক থাকলেও এই দিকটা কেন ঠিক হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। দোয়া করে যাচ্ছি অনবরত। কেন সবজি মেনটেন করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ,  তার কাছে গেলে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে?  এভাবে তো গুনাহগারও হয়ে যাচ্ছি।  এজন্য কথা বলা কমিয়ে দিয়েছি,  কথা বললেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বেশি বেড়ে যায়।আমিএকটা কথা মজা করে বললেও সে, সিরিয়াস হয়ে যেত।রিয়েক্ট  করতো, অনেকগুলি কথা শোনাতো।

এই অবস্থায় আমার করণীয় কি? আমার তার প্রতি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। এতে কি আমার গুনাহ হচ্ছে? নিজেকে ও সন্তানকে  নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। আমার জন্য দোয়াও করবেন

1 Answer

0 votes
by (670,230 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি স্বামীকে নরমভাবে হেকমতের সাথে বুঝাবার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)

আপনার স্বামীর হেদায়তের জন্য দু'আ করুন
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺑُّﻜُﻢُ ﺍﺩْﻋُﻮﻧِﻲ ﺃَﺳْﺘَﺠِﺐْ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺴْﺘَﻜْﺒِﺮُﻭﻥَ ﻋَﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻲ ﺳَﻴَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺩَﺍﺧِﺮِﻳﻦَ
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।(সূরা আল-মু'মিন-৬০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীকে এবং স্বামীর পরিবারকে হেকমতের সাথে বুঝানোর চেষ্টা করুন। পরিবারের সুখশান্তির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন এবং ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন। বর্ণিত পরিস্থিতিতে নিজের প্রতি এবং সন্তানের প্রতি ব্যস্ত হওয়ার কারণে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...