জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মাছ ছাড়া অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েয নাই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত স্কুইড যেহেতু মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও জায়েয নাই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪ আল বাহরুর রায়েক ৮/৪৮৫ হাশিয়ায়ে তাহতাবী ৪/৩৬০ ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৮)
শামুক ঝিনুক ইত্যাদিরও একই হুকুম।
এগুলো খাওয়া হলো নয়।
,
এগুলো হারাম হওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত’
وَيُحَرِّمُ عَلَيهِمُ الخَبائِثَ
‘খাবায়েস নিষিদ্ধ‘।
(আলআরাফ ১৫৭)।
‘খাবায়েস’ বলা হয়,
كل ما يستخبثه الطبع
অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে।
(দ্রঃ তাফসীরে কাবীর, অাযওয়াউল বায়ান, আললুবাব, আলহাবী সংশ্লিষ্ট আয়াত)।
আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও নিষিদ্ধ।
★ এ ধরণের জলজ প্রাণী রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরাম খেয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।
অধিকন্তু হাদীসে এসেছে,
انَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِهَا
অর্থাৎ, আব্দুর রহমান বিন উসমান রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন। (আবু দাউদ ৩৮৭১)। অথচ ব্যাঙ জলজ প্রাণী।
★ আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أحلت لنا ميتتان ودمان فأما الميتتان فالحوت والجراد وأما الدمان فالكبد والطحال
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃত জীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। (ইবনে মাজাহ ৩৩১৫, আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩। সনদ সহিহ।)
,
আরো জানুনঃ
,
★তবে এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ রয়েছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
,
(০২)
নামাজ হয়ে যাবে।
,
(০৩)
না,বাকি ওয়াক্ত গুলোর কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
(০৪)
ফজরের ফরজ স্বলাতের প্রথম রাকাআতের চেয়ে দ্বিতীয় রাকাআতের কিরাআত দীর্ঘ হয়ে গেলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কোনো গুনাহ নেই।
তবে এটি অনুত্তম।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 542):
"(وإطالة الثانية على الأولى يكره) تنزيهاً (إجماعاً إن بثلاث آيات) إن تقاربت طولاً وقصراً، وإلا اعتبر الحروف والكلمات. واعتبر الحلبي فحش الطول لا عدد الآيات، واستثنى في البحر ما وردت به السنة، واستظهر في النفل عدم الكراهة مطلقاً (وإن بأقل لا) يكره، «لأنه عليه الصلاة والسلام صلى بالمعوذتين».
সারমর্মঃ
প্রথম রাকাতের তুলনায় ২য় রাকাত লম্বা করা সর্বসম্মতিক্রমে মাকরুহে তানযিহি।