আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in সাওম (Fasting) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১।এবার রোজার সময় আমি ৬ সপ্তাহের প্রেগন্যান্ট ছিলাম।তখনো আমার বাচ্চার হার্টবিট আসেনি।আমার আগে থেকে থাইরয়েড এবং মুত্রথলির ইনফেকশন ছিলো।ট্রিটমেন্ট করার পর বাচ্চা কনসিভ হয়।কনসিভ হওয়ার পর রোজার মধ্যে ডাক্তার দেখাতে যাই।তখন ইউরিন টেস্ট করে দেখাযায় আমার ইউরিন এর সাথে ব্লাড যাচ্ছে। ইনফেকশন আবার হইছে।তখন ডাক্তার আমাকে এন্টিবায়োটিক দেন।এবং বলেন ৭ দিন রোজা না রাখলে ভালো হয়।পর্যাপ্ত পানি আর ১২ ঘন্টা পর পর ওষুধ না খেলে সমস্যা বাড়বে।ইনজেকশন দিতে হতে পারে।ডাক্তার অমুসলিম ছিলেন।কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী মনে হয় নি।

আমি ৭ টা রোজা ভেঙে মেডিসিন কন্টিনিউ করেছিলাম।রোজা রেখে ১২ ঘন্টা পর পর ওষুধ খাওয়ার টাইম মিলতেছিলো না।এক্ষেত্রে আমার কাযা আদায় করে দিলেই হবে নাকি কাফফারাও দিতে হবে??কাফফারা হলে ৭ ট রোজার জন্য টানা ৬০ টা করে মোট ৪২০ টা রোজা থাকতে হবে?
২।৭ টা রোজা ভাংগার পর যখন আমি আবার রোজা রাখা শুরু করি তখন দুই দিন বাইরে বের হয়েছিলাম।বাইরে গিয়ে আমি অসুস্থ হয়ে যাই এবং পানি খেয়ে রোজা ভেঙে ফেলি।এই ২ টা রোজা কি কাযা আদায় করে দিলে হবে নাকি কাফফারা সহ ৬০ টা করে মোট ১২০ টা রোজা আদায় করতে হবে।

৩।আমার স্বামী আগে বেকার ছিলো।তখন আমি বিভিন্ন সময়ে ৩ টা কসম করেছিলাম।পরবর্তী তে কসম গুলা স্বামীর জন্যই ভাংতে হয়েছে।এখন আমার স্বামী জব করে।আমাকে হাত খরচ ২ হাজার টাকা করে দেয় মাসে।এখন আমার মোট কসম ভাংগা হয়েছে ৪ টি।এই ৪ টি কসমের কাফফারা কিভাবে দিতে হবে?

কাফফারা'র টাকা আমার স্বামী দিতে চেয়েছেন। তার থেকে নিয়ে দিলে হবে নাকি আমার হাত খরচ ২ হাজার টাকা থেকে কাফফারা দিতে হবে?কি পরিমাণ দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (689,100 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ, অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গর্ভাবস্থায় রোযা ভঙ্গ করার অনুমোদন রয়েছে। যতটি রোযা ভঙ্গ করেছেন, ততটি রোযা কাযা করে নিলেই হবে। আপনাকে কাফফারা দিতে হবে না।

(২) যেই রোযা কাযা রেখে আবার ভঙ্গ করেছেন, সেই রোযার পরিবর্তে একটি রোযা রাখলেই হবে।

(৩) ৪ টি কসমের কাফফারা সর্বমোট ৪,৬০০ টাকা আসবে।

আপনার কাফফারা স্বামী আদায় করলেও হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তায,২ নম্বরে যেটা লিখেছি সেটা কাযা রোজা না।রমজান মাসে ফরজ রোজাই রেখে ভাংছিলাম অসুস্থতার কারনে।প্রেগন্যান্ট অবস্থাতেই।এরজন্য কাফফারা দিতে হবে কিনা?
by (689,100 points)
যেহেতু গর্ভাবস্থায় রোযা রেখে ভঙ্গ করেছেন, তাই শুধুমাত্র একটির বদলে একটি কাযা করলেই হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 293 views
...