জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
عن أنس أن نفرا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بعضهم لا أتزوج وقال بعضهم أصلي ولا أنام وقال بعضهم أصوم ولا أفطر فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال ما بال أقوام قالوا كذا وكذا لكني أصوم وأفطر وأصلي وأنام وأتزوج النساء فمن رغب عن سنتي فليس مني
অর্থাৎ হজরত আনাস (রাযি.) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর একদল সাহাবি রাসূলের (সা.) দরবারে এসে বলতে লাগলো; আমি কখনো বিয়ে করবো না (ইবাদতের জন্য বৈরাগ্যতা অবলম্বন করবো) আমি রাতে নামাজ পড়তে থাকবো কখনো ঘুমাবো না, আরেকজন বললো আমি সারাজীবন রোজা রাখবো কখনো রোজ ভঙ্গ করবো না। এই সবগুলো কথা শোনার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে লাগলো- আক্ষেপ তোমাদের ওপর! তোমাদের কী হলো? তোমার এই করবা না সেই করবা না, এই ছাড়বা না সেই ছাড়বা না শুরু করে দিলে। অথচ আমি নামাজও পড়ি আবার ঘুমাইও, আমি রোজাও রাখি আমার বিরতিও দিই। আমি বিবাহও করি! সুতরাং (জেনে রাখো বিয়ে আমার সুন্নত) যে আমার সুন্নাত থেকে বিমুখ হয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত না।
عن عائشة قالت قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ্র النكاح من سنتى فمن لم يعمل بسنتى فليس منى وتزوجوا
অর্থাৎ হজরত আয়েশা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘বিবাহ আমার সুন্নাত যে আমার সুন্নাতের ওপর আমল করবে না সে আমার দলভুক্ত নয়। সুতরাং তোমরা বিবাহ করো। (ইবনে মাযাহ : হাদিস নম্বর ১৯১৯)।
.
বিবাহ কখন ওয়াজিব হয়,জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মেয়ের উপর যদি বিবাহ ওয়াজিব পর্যায়ে পৌছে,তাহলে এই মুহুর্তে তার বিবাহ করাই উচিত।
আর যদি বিবাহ ওয়াজিব পর্যায়ে না যায়,তাহলে তার বাবা মার কথা অনুযায়ী লেখা পড়া চালিয়ে যাওয়া উচিত।
তবে শর্ত হলো পরিপূর্ণ শরীয়ত মেনে।
যদি শরীয়তের খেলাফ কোনো কাজ করতে হয়,বা কোনো সময়ে এসে শরীয়ত বহির্ভূত কাজ হওয়ার আশংকা হয়,তাহলে সেই মুহুর্তে এসে আর লেখাপড়া চালিয়ে যাবেননা।
,
মহিলাদের ডাক্তারি লেখাপড়া সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ