আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
reopened by
1. জনাব, আমাকে আমার এক আত্মীয় একজন বৃদ্ধ মহিলা প্রশ্নটি করেছে তার প্রশ্ন টি হল,

""" দুজন মানুষ দুজন দুজনকে  ভালোবাসে  কিন্তু তা প্রকাশ করেনি। আর এটা মনে মনেই ছিল।  কখনো দেখাও করেনি। কখনো যোগাযোগও ছিল না।70 বা 75 বছর হওয়ার  পরে   ছেলেটা  প্রথমে  প্রকাশ করেছে।  ছেলেটা বিবাহিত। মেয়েটাও বিবাহিত। তারা দুজনেই এখন বৃদ্ধ। এটা  সারা জীবন তাদের মনের  মধ্যেই  ছিল। """

 এখন প্রশ্ন হলো, তাদের মধ্য   এখন যে বিষয়টা লুকায়িত ছিল তাদের এই বিষয়টা কি ভালো না  মন্দ কাজ। মানে এই কাজটা  ইসলামী শরীয়তের  দৃষ্টিতে কি?? এটা কতটুকু গুনাহের কাজ??

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালবাসা নাজায়েয ও হারাম। কারো প্রতি অন্তরে মহব্বত থাকা সেটা যদিও নিন্দনীয় নয় তবে বিপরিত লিঙ্গের কারো জন্য এভাবে মহব্বত রাখা কখনো উচিৎ হয়নি । কাজটি সম্পূর্ণই অনর্থক হিসেবে বিবেচিত হবে। 

জেনে রাখুন বিপরীত লিঙ্গের দুইজন মানুষের মাঝে পত্র-যোগাযোগ একটি ফিতনার দরজা। এ পথ দিয়ে শয়তানের পাতানো ফাঁদে পা দেয়া থেকে সাবধানমূলক দলিল-প্রমাণ ইসলামী শরিয়তে ভরপুর। এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এক যুবককে এক যুবতীর দিকে তাকাতে দেখলেন তখন তার গলা ঘুরিয়ে দিলেন যাতে করে যুবতীর উপর থেকে তার দৃষ্টি সরে যায়। এরপরতিনি বললেনঃ “আমি লক্ষ্য করলাম এরা দুইজন যুবক-যুবতী। সুতরাং তাদেরকে আমি শয়তান হতে নিরাপদ মনে করিনি।”।[সুনানে তিরমিযি (৮৮৫), আলবানী ‘সহিহুত তিরমিযি’ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।]

ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন:
“যদি কোন হারাম কারণ ছাড়া ভালোবাসা তৈরী হয় তাহলে এ ভালোবাসার কারণে ব্যক্তিকে নিন্দা করা হবে না। যেমন- যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে কিংবা তার দাসীকে ভালবাসত, এরপর তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, কিন্তু ভালোবাসাটা মনের মধ্যে রয়ে গেছে– এমন ব্যক্তিকে নিন্দা করা হয় না। অনুরূপভাবে কারো যদি হঠাৎ চোখ পড়ে যায় এবং সে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়, কিন্তু তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মনের মাঝে ভালোবাসা স্থান করে নেয়। যদিও তার কর্তব্য এটাকে প্রতিহত করা ও দূর করা।”[সমাপ্ত] [রওযাতুল মুহিব্বীন (পৃষ্ঠা-১৪)]

বেগানা পুরুষের সাথে বেগানা
নারীর প্রেম পিরিত হারাম।ইসলামে প্রেম জায়েজ তবে সেটা হতে হবে আপনার বিবাহিত স্ত্রীরসাথে।
আল্লাহ বলেন,,
স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না”(সূরা আল মায়িদা, আয়াত নং ৫ )
এরপর সূরা নূর এ আল্লাহ বলেন,,
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। (পুরুষ দের উদ্দেশে বলা হয়েছে)(সূরা নূর, আয়াত নং ৩০ )


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...