বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালবাসা নাজায়েয ও হারাম। কারো প্রতি অন্তরে মহব্বত থাকা সেটা যদিও নিন্দনীয় নয় তবে বিপরিত লিঙ্গের কারো জন্য এভাবে মহব্বত রাখা কখনো উচিৎ হয়নি । কাজটি সম্পূর্ণই অনর্থক হিসেবে বিবেচিত হবে।
জেনে রাখুন বিপরীত লিঙ্গের দুইজন মানুষের মাঝে পত্র-যোগাযোগ একটি ফিতনার দরজা। এ পথ দিয়ে শয়তানের পাতানো ফাঁদে পা দেয়া থেকে সাবধানমূলক দলিল-প্রমাণ ইসলামী শরিয়তে ভরপুর। এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এক যুবককে এক যুবতীর দিকে তাকাতে দেখলেন তখন তার গলা ঘুরিয়ে দিলেন যাতে করে যুবতীর উপর থেকে তার দৃষ্টি সরে যায়। এরপরতিনি বললেনঃ “আমি লক্ষ্য করলাম এরা দুইজন যুবক-যুবতী। সুতরাং তাদেরকে আমি শয়তান হতে নিরাপদ মনে করিনি।”।[সুনানে তিরমিযি (৮৮৫), আলবানী ‘সহিহুত তিরমিযি’ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।]
ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন:
“যদি কোন হারাম কারণ ছাড়া ভালোবাসা তৈরী হয় তাহলে এ ভালোবাসার কারণে ব্যক্তিকে নিন্দা করা হবে না। যেমন- যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে কিংবা তার দাসীকে ভালবাসত, এরপর তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, কিন্তু ভালোবাসাটা মনের মধ্যে রয়ে গেছে– এমন ব্যক্তিকে নিন্দা করা হয় না। অনুরূপভাবে কারো যদি হঠাৎ চোখ পড়ে যায় এবং সে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়, কিন্তু তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মনের মাঝে ভালোবাসা স্থান করে নেয়। যদিও তার কর্তব্য এটাকে প্রতিহত করা ও দূর করা।”[সমাপ্ত] [রওযাতুল মুহিব্বীন (পৃষ্ঠা-১৪)]
বেগানা পুরুষের সাথে বেগানা
নারীর প্রেম পিরিত হারাম।ইসলামে প্রেম জায়েজ তবে সেটা হতে হবে আপনার বিবাহিত স্ত্রীরসাথে।
আল্লাহ বলেন,,
স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না”(সূরা আল মায়িদা, আয়াত নং ৫ )
এরপর সূরা নূর এ আল্লাহ বলেন,,
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। (পুরুষ দের উদ্দেশে বলা হয়েছে)(সূরা নূর, আয়াত নং ৩০ )