আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
307 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আর্মি অফিসাররা ট্রেনিং দেওয়ার সময় সৈনিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও শারীরিক নির্যাতন করে থাকে।
কারণ, এটার মাধ্যমে নাকি সৈনিকদেরকে প্রতিকূল পরিবেশের জন্য মানসিক ট্রেনিং দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: ট্রেনিং দেওয়ার সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেওয়া কী যায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো প্রতিষ্টান নিয়ে কথা বলার অধিকার আমরা রাখি না। প্রত্যেক প্রতিষ্টানের আলাদা কিছু নিয়ম কানুন থাকবে,এটাই স্বাভাবিক। ,সেনাবাহিনি দেশের গর্ব। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। 

যখন কেউ আমদেরকে জায়েয নাজায়েয সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন আমাদের উপর রাসূল সা. কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আবশ্যক হয়ে যায় যে, জায়েয নাজায়েয সম্পর্কে ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুসলমানদের চরিত্র এমন হতে পারবে না যে,তাদের কথাবার্তায় অনর্থকতা ও অশ্লীলতা থাকবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِوَلاَ البَذِيءِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিন কখনো দোষ বর্ণনাকারী, লা'নতকারী,অশালীন বাক্যালাপকারী এবং বেহায়া হতে পারে না।(সুনানু তিরমিযি-১৯৭৭)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উচিৎ সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।এবং এর ধারেকাছেও না ঘেষা। কেননা যে ব্যক্তি সীমান্তরেখা বরাবর হাটবে,তার জন্য আশংকা থাকে যে সে সীমান্তরেখা পার হয়ে বিপথগামী হবে।

শিক্ষা অর্জনের প্রতি ছাত্রদেরকে মনযোগী করতে বা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও যদি ছাত্রটি মনযোগী হয়না,তখন তাকে সরি বা বেত দ্বারা অবস্থাবেধে সর্বোচ্ছ ১০টা বেত্রাঘাত  করা যাবে।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে......
ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻻ ﻳﺠﻠﺪ ﻓﻮﻕ ﻋﺸﺮ ﺟﻠﺪﺍﺕ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺣﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻭﺩ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻛﻢ ﺍﻟﺘﻌﺰﻳﺮ ﻭﺍﻷﺩﺏ
তরজমা- নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-
শিষ্টচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্ছ দশটা বেত্রাঘাত করা যাবে তবে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রান্ত হওয়ার হলে এর থেকেও বেশী শাস্তি দেওয়া যাবে।(যেমন ব্যবিচারির শাস্তি ১০০বেত্রাঘাত)
**শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেত্রাঘাত ব্যতীত অন্যান্য সব রকম চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হবে সব রকম চেষ্টাই বিফল যাবে,তখন বেত্রাঘাত করার হুকুম শরীয়ত কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে।
(১)দশের উর্দে হতে পারবে না।
(২)চেহারায় প্রহার করা যাবে না।

নবীজি সাঃ বলেনঃ-
ﺇﺫﺍ ﺿﺮﺏ ﺃﺣﺪﻛﻢ، ﻓﻠﻴﺠﺘﻨﺐ ﺍﻟﻮﺟﻪ، ﻭﻻ ﻳﻘﻞ ﻗﺒﺢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺟﻬﻚ " ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ ﺑﺄﻟﻔﺎﻅ ﺃﺧﺮﻯ
তরজমা- যখন শরয়ী প্রয়োজনে কেউ প্রহার করবে তখন সে যেন চেহারায় প্রহার করা থেকে বিরত থাকে,এবং সে যেন তাকে (রাগবশত)এ কথা না বলে যে,আল্লাহ তোমার চেহারাকে (সমস্ত বরকত থেকে বঞ্চিত করে)অমঙ্গল করুক।
(৩)বিশেষ এমন কোন স্থানে প্রহার করা যাবে না যেখানে বেশী ব্যথা পাওয়া যায় বা অন্য কোন সমস্যার সম্ভাবনা থাকে,যেমনঃ পেট,লজ্জাস্থান,ইত্যাদি।
(৪)রাগান্বিত অবস্থায় প্রহার করা যাবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শারিরিক শাস্তি প্রদানের অধিকার আইনত যেকোনো প্রতিষ্টানের থাকবে, এবং সেটারও কিছু বিধি-বিধান রয়েছে। গালাগালি ব্যতীত যদি অন্য কোনো রাস্তা বের করা যায় ,তাহলে সেটা কতই না উত্তম হবে।




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
উস্তাদ, কাউকে মারতে গেলে কি কি বিধি বিধান আছে তা যদি বলতেন।জাযাকাল্লাহ  খাইরান 
by (712,400 points)
শিক্ষা অর্জনের প্রতি ছাত্রদেরকে মনযোগী করতে বা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও যদি ছাত্রটি মনযোগী হয়না,তখন তাকে সরি বা বেত দ্বারা অবস্থাবেধে সর্বোচ্ছ ১০টা বেত্রাঘাত করা যাবে।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে...... ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻻ ﻳﺠﻠﺪ ﻓﻮﻕ ﻋﺸﺮ ﺟﻠﺪﺍﺕ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺣﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻭﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻛﻢ ﺍﻟﺘﻌﺰﻳﺮ ﻭﺍﻷﺩﺏ তরজমা- নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- শিষ্টচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্ছ দশটা বেত্রাঘাত করা যাবে তবে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রান্ত হওয়ার হলে এর থেকেও বেশী শাস্তি দেওয়া যাবে।(যেমন ব্যবিচারির শাস্তি ১০০বেত্রাঘাত) **শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেত্রাঘাত ব্যতীত অন্যান্য সব রকম চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হবে সব রকম চেষ্টাই বিফল যাবে,তখন বেত্রাঘাত করার হুকুম শরীয়ত কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে। (১)দশের উর্দে হতে পারবে না। (২)চেহারায় প্রহার করা যাবে না। নবীজি সাঃ বলেনঃ- ﺇﺫﺍ ﺿﺮﺏ ﺃﺣﺪﻛﻢ، ﻓﻠﻴﺠﺘﻨﺐ ﺍﻟﻮﺟﻪ، ﻭﻻ ﻳﻘﻞ ﻗﺒﺢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺟﻬﻚ " ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ ﺑﺄﻟﻔﺎﻅ ﺃﺧﺮﻯ তরজমা- যখন শরয়ী প্রয়োজনে কেউ প্রহার করবে তখন সে যেন চেহারায় প্রহার করা থেকে বিরত থাকে,এবং সে যেন তাকে (রাগবশত)এ কথা না বলে যে,আল্লাহ তোমার চেহারাকে (সমস্ত বরকত থেকে বঞ্চিত করে)অমঙ্গল করুক। (৩)বিশেষ এমন কোন স্থানে প্রহার করা যাবে না যেখানে বেশী ব্যথা পাওয়া যায় বা অন্য কোন সমস্যার সম্ভাবনা থাকে,যেমনঃ পেট,লজ্জাস্থান,ইত্যাদি। (৪)রাগান্বিত অবস্থায় প্রহার করা যাবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...