আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
আগের ৩নং প্রশ্নের বেপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ উনি এশার নামাজ রাতের এক তৃতীয়াংশে পরতেন। এখন রাতকে তিন ভাগ করলে ১০ঃ১০ হয়। আমাদের দেশে  এখনকার সময়ে এশার নামাজ তারাতাড়ি পরে ফেলে।

১।রাসুল সাঃ দেরি করে পরতেন এখন তো তাড়াতাড়ি পরে । রাসুল সাঃ এশার নামাজ পড়ে খাওয়া, ইস্তেন্জা,বিভিন্ন কাজ শেরে  ঘুমাতে  এখনকার সময়ের আনুমানিক  ১১ টা বা কিছু কম বাজার কথা রাত বড় ছোট হওয়ার কারনে তারতম্য হবে। এখন আমি কি করবো রাসুল সাঃ উনার নামাজ শেষ করে যে আনুমানিক  সময়ে ঘুমাতে যেতেন সে  অনুযায়ী সময়ে ঘুমাতে যাবো নাকি এখন যে অনুযায়ী নামাজ পড়ে সে অনুযায়ী ঘুমাতে যাবো?

২।বিনা কারনে রাতে দেরিতে ঘুমালে মাকরূহে তাহরিমি নাকি তানজিহি। গুনাহ কি কবিরা নাকি সগিরা হবে?

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ঈশার নামাজের পর দুনিয়াবি (অনার্থক) কাজ বা (অনার্থক) কথাবার্তা বলা মাকরুহ।
তবে জরুরী কাজ বা কথা হলে কোনো সমস্যা নেই।    (ফাতাওয়ায়ে শামী (১/৩৪১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 حَدَّثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنْ خَيْثَمَةَ ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا سَمَرَ بَعْدَ الصَّلَاةِ

অর্থাৎ ঈশার নামাজের পর কথা বলা যাবেনা (মুসনাদ আহমদ হাদীস নং ৩৬০৩)

,
হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে কখনো এশার আগে ঘুমাতে এবং এশার পর গল্পগুজব করতে দেখিনি। এশার পর হয়তো জিকিরে মশগুল থাকতেন, এতে তো কেবল লাভই, নচেৎ ঘুমিয়ে পড়তেন, এর দ্বারা সব অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়। আয়েশা (রা.) বলেন, তিন ধরনের মানুষের জন্য রাত জাগার অনুমতি রয়েছে : বিয়ের রাতে নবদম্পতি, মুসাফির ও নফল নামাজ আদায়কারী। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হা. : ৪৮৭৯)
 
হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছেঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার নামাজের পর অপ্রয়োজনীয় অহেতুক গল্প গুজব করতে অপছন্দ করতেন (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫১৪)

বিস্তারিত জানুনঃ-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যামানায় ঈশার নামাজ দেড়িতে পড়া হতো।
আর এখন তারাতাড়ি পড়ে,এই অজুহাতে ইশার নামাজের পর অনার্থক কাজ বা অনার্থক কথাবার্তা বলার সুযোগ নেই।

এক্ষেত্রে জরুরী কাজ বা জরুরী কথা বলা যাবে,তাতে কোনো সমস্যা নেই।

অনার্থক কাজ করা বা অনার্থক কথাবার্তা বলা মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। 

(০২)
এক্ষেত্রে ঈশার পর গুনাহ করলে দেড়িতে ঘুমানো মাকরুহে তাহরিমি হবে।
গুনাহের কাজ না করলে দেড়িতে ঘুমানো মাকরুহে তানযিহি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 204 views
...