ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রচলিত ডিপিএস,স্কীম ডিপিএস, ফিক্সট ডিপোজিট হারাম এবং পরিত্যাজ্য।
তবে যদি কোনো ব্যাংক শরীয়তকে পুরোপুরি মেনে এই সমস্ত প্রকল্প, স্কীমগুলো প্রনয়ন করে ও যত্নসহকারে তা পালন করতে সচেষ্ট থাকে তবে তা জায়েয হবে। যেমন পাকিস্তানের মিজান ব্যাংক সম্পর্কে শুনা যায়,যে তারা সম্পূর্ণভাবে শরীয়তকে মেনে চলে।
যত্নসহকারে পালনের অর্থ হচ্ছে,ডিপিএস এমন হতে হবে যে,যে মেয়াদের জন্য ডিপি এস করা হবে,মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসল ব্যতীত মুনাফা কত? তা নির্দিষ্ট হতে পারবে না।
যদি মুনাফা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে,তাহলে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে।
যদি কেউ টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ৫-১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস করে নেয়, তাহলে সে শুধুমাত্র আসল নিতে পারবে। মুনাফা নিতে পারবে না। কেননা মুনাফা সুদ। আর সুদ হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/112674
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বাবাকে জিজ্ঞেস করে বা অনুমান করে জেনে নিবেন যে, সুদের কত টাকা বিল্ডিং নির্মাণে ব্যায় হয়েছে। সবগুলো টাকা সদকাহ করে দিবেন। তাহলে ঐ বাড়ীতে থাকা আপনাদের জন্য নাজায়েয হবে না।
(২) জ্বী, উনার যাকাত যদি আপনারা আদায় করে দেন, তাহলে আদায় হয়ে যাবে। গরীব মিসকিন ও এতিমখানা মাদরাসায় দিয়ে দিবেন ।
(৩) গাছ যার ফলও তার। তবে কিছু পরিবারের ভাইবোনদের মধ্যে সাধারণত মৌনসম্মতি থাকে, যেজন্য বিষয়টা একেক পরিবারে একেক রকম হিসেবে গণ্য হবে।
(৪) নিয়তের কারনে হয়তো আল্লাহ শিখা ও তিলাওয়াতের সওয়াব দিয়ে দিবেন।জাযাকাল্লাহ।
(৫) সগীরা তো মাফ হবে, তবে কবিরা গোনাহ মাফ হবে কি না? তা আল্লাহই ভালো জানেন।