আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি বিবাহিত। জেনারেল শিক্ষার ২য় বর্ষে আছি। পড়ার আরও ২ বছর আছে। সহশিক্ষা হলেও আমার ক্লাসে ২/৪ জন ছেলে বাকিরা সব মেয়ে। এই সেমিস্টারে কোনো ছেলে নেই। আমি এখন ছেড়ে দিতে চাচ্ছি কিন্তু বুঝতে পারছিনা ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে কিনা। আমি জনস্বাস্থ্য ডিপার্টমেন্টে পড়ি। আমার স্বামী আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট সাপোর্টিভ। উনি আমাকে সহশিক্ষা নিয়ে অনুতসাহিত করেছিলেন এবং বলেছেন আমি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এতে উনার কোনো সমস্যা নাই। অর্থাৎ আমি চাইলে পড়া চালিয়ে যেতে পারি বা ছেড়ে দিতে পারি। আমার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূরে। সকাল ৭ টায় গেলে সন্ধ্যা ৬:৩০ বাজে আবার কখনো ৮ টা। সারাদিন ভার্সিটিতে থাকা লাগে, বিকালে বা সন্ধ্যায় আসার সময় এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয়।  আমি আর আমার স্বামী একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আসা যাওয়া উনার সাথেই করি। কিন্তু আমি শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল। এভাবে আসা যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আবার আগামীতে যদি আমি পরিবার পরিকল্পনা করি তাহলে এভাবে আমার পক্ষে পড়াশোনা চালানো সম্ভব হবেনা, মাঝপথে হয়তো ছেড়ে দিতে হবে। একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ছি। আমি এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। মনেও টানছে না ভার্সিটিতে পড়ি আবার ভয়ও হচ্ছে ছেড়ে দিলে পরে কোনো সমস্যা হবে কিনা। আর পড়া যদি ছেড়েও দেই তাহলে কোনদিকে পড়া উচিত হবে? মাদ্রাসার কোন লাইন? আমি অনলাইনে মনোযোগ দিতে পারি না এবং আমার নানান সমস্যা হয় যেমন : চোখ, মাথা ব্যথা করে, মাথা ভার ভার লাগে। আমাকে পরামর্শ দিয়েন উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি পর্দাপুশিদাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে শিক্ষাকে কম্পিলিট করাই উচিত। তবে যদি নিজের ঈমান আমলে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে পাশাপাশি কোনো কওমী মাদরাসায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। অথবা ঘরে বসে কিতাবাদি থেকে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...