আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু উস্তাদ।
আমার এক নিকট পরিচিতা যাদের সাথে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই কিন্তু অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে। আমাদের পরিবার তাদের পরিবারকে ছাড়া এবং তারা আমাদের ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তাদের কিছু কাজ আমার অপছন্দ এবং শরীয়তমতে আমি এগুলো নিষিদ্ধ মনে করি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ভালো জানেন। আমার সেই পরিচিতারা পারিবারিক কোন সমস্যা হলেই বিভিন্ন হুজুর ও কবিরাজের কাছে যায়। হিন্দু কবিরাজের কাছ থেকেও সাহায্য নেন। আবার এমন হুজুরদের কাছ থেকে সাহায্য নেন যারা দাবি করে জ্বীন দের মাধ্যমে কাজ করায় এবং কুরআনিক আমল দেয়। রিসেন্টলি তাদের কিছু সম্পদ চুরি যাওয়ায় এক হুজুরের কাছ থেকে জ্বীনের মাধ্যমে সরাসরি আয়নাপড়ায় চোর দেখিয়েছে বাচ্চা দিয়ে। এখন আমার কিছু প্রশ্ন হলো :
১) তাদের এই আয়নাপড়া কি সরাসরি জ্বীনজাদু না?

২) তাদের এসকল কাজ কি কুফরি না।

৩) যদি তারা কুফরি করে আর বলার পরও মনে করে এগুলো কুফরি না তারা কি কাফের হয়ে যাবে।
৪) তারা যদি সরাসরি কাফের হয়ে যায় বা কুফর করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে আমার সাথে তাদের সম্পর্ক কেমন থাকা উচিত। তাদের বাসায় কি আমি যেতে পারবো বা দাওয়াত গ্রহণ করতে পারবো। আর কিছু খেতে দিলে কি খেতে পারবো?

৫) আমি আগে অজ্ঞতার জন্য তাদের এক হুজুরের কাছথেকে পানিপড়া ও কালো সুতার গিট পড়া নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তাওবা করেছি আর কখনো যাইনি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কি আমাকে ক্ষমা করবেন।

[বিঃদ্রঃ তারা অন্যদিকে অত্যান্ত ধার্মিক, হজ্জ করেছেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কুরআন ও নফল ইবাদত করেন।]

উস্তাদ অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন। জাঝাকুমু-আল্লাহু খইরন।  আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

1 Answer

0 votes
by (652,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-

সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ বিশেষ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুসলমান কবিরাজ যদি কুরআন হাদীসের বাক্যাবলী দ্বারা চিকিৎসা করেন, তাহলে উনার কাছ থেকে সেবা নেওয়া যাবে। তবে হিন্দুর কাছে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না।কেননা হিন্দু কখনো কুরআন হাদীস দ্বারা চিকিৎসা সেবা দিবেনা। 

এখন আমার কিছু প্রশ্ন হলো :
(১) তাদের এই আয়নাপড়া কুসংস্কার। এত্থেকে বেচে থাকতে হবে। 
(২) তাদের এসকল কাজ করা সরাসরি কুফরি না হলে কুফরির নিকটবর্তী আবার কোনোটা কুফরি।
(৩) যদি তারা কুফরি করে আর বলার পরও মনে করে এগুলো কুফরি না, তারা কাফের হয়ে যাবে।
(৪) তারা যদি সরাসরি কাফের হয়ে যায় বা কুফর করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আপনার উচিত তাদের তাওবাহ করানোর ব্যবস্থা করা 
৫) জ্বী, এখানে কুফরি কিছু নেই।  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আপনাকে ক্ষমা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...