আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
392 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন(১) ভালো ও মন্দ উভয় কাজের স্বাধীনতা আল্লাহ দিয়েছেন। যে লোক যে পথে যেতে চায় আল্লাহ তাকে সেদিকেই পরিচালিত করেন। এই কথা কোন গুনাহগার ব্যক্তি শোনার পর যদি তিনি কোন একটা পাপের কাজ করারত অবস্থায় যদি এমনটা ভাবে যে, আল্লাহর ইচ্ছাতে সে পাপ কাজ করতেছে এই সময়ে ফেরেশতা তাকে পাপ কাজ থেকে বাধা দিতে পারবে না যতক্ষণ না আল্লাহ ইচ্ছা করবেন না। ফেরেশতা যাতে তার পাপ কাজে বাধা দিতে না পারে  এ জন্য অন্য আরেকটি পাপ কাজের নিয়ত করে যদি পাপ কাজটি করে তাহলে সে কি মুরতাদ হয়ে যাবে? তাকে কি আবার নতুন করে বিবাহ করতে হবে কি?

★যদি ব্যক্তিটি জেনে থাকে যে আল্লাহ পাপ কাজ নিষেধ করেছেন তবে বান্দা  পাপ কাজ তখনি করতে পারে যখন আল্লার ইচ্ছা থাকে।

প্রশ্ন (২) যদি কোন ব্যক্তি কোন একটা কুফরি বাক্য উচ্চারণ করে নাই কিন্তু  মনে মনে ভেবে  বিশ্বাস যদি করে থাকে কিন্তু বোঝে নাই যে এটা একটা কুফরি বাক্য  এবং সাথে সাথেই যদি তার মনে পড়ে যায় যে, এটা তো একটা কুফুরি বাক্য তখন সে যদি আস্তাগফিরুল্লাহ বলে তবুও সেই বেক্তি মুরতাদ হয়ে যাবে কি? তাকে কি আবার নতুন করে বিবাহ করতে হবে কি?

প্রশ্ন(৩) যদি কোন ব্যক্তি জুয়া খেলে তাহলে সে কি মুরতাদ হয়ে যাবে?এটা কি কুফরি কাজ?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি অন্য আরেকটি পাপ কাজের নিয়ত করে, তারপর যদি পাপ কাজটি করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবেনা তাকে আবার নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যাবেনা।
তাকে আবার নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।

এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে।

ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»

তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ  স্থলে خَشْيَتُكَ  বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)
(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২) 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
যদি কোন ব্যক্তি জুয়া খেলে তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবেনা।
এটা কুফরি কাজ নয়।

তবে এটি হারাম কাজ হওয়ায় তওবা আবশ্যক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...