আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি স্টুডেন্ট, এসএসসির পর পড়াশোনা আর করিনি। পরে মাদরাশাতে ভর্তি হই।
তো এক আন্টি তার দুই মেয়েকে আমার কাছে প্রাইভেট পড়াতে দেয়, তার একটা মেয়ে পড়ে ৮ম শ্রেণিতে, আর আরেকটা পড়ে ৯ম শ্রেণিতে। বেতন কত টাকা দিতে হবে, সেই টাকার কথা আমি সম্মানের খাতিরে আগে কিছুই জানাইনি,আর না তারা জানিয়েছিলেন।
তো ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেয়ে দুইটি পড়া শুরু করে (ইংরেজি আর গণিত একইসাথে ১ ঘন্টায় পড়াই)। দুইজন যেহেতু আলাদা শ্রেণিতে তাই আলাদা টাইমে পড়াই, মানে দুইজনকে আলাদা ভাবে দুই ঘন্টা সময় দিয়ে এই দুইটি সাব্জেক্ট একসাথে পড়াই, শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন ই।

আবার ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের একজন আরেকটা সাব্জেক্টের (জীববিজ্ঞান) প্রাইভেট পড়া আমার কাছে শুরু করে। সেখানেও ১ঘন্টা করে সময় দেই।
আবার ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই মেয়েটাই আর ও দুইটা সাব্জেক্টের (রসায়ন,পদার্থবিজ্ঞান) প্রাইভেট শুরু করে আমার কাছে। সেখানেও দুইটা সাব্জেক্টের পেছনে মোট ১ ঘন্টা করে সময় দেই।
আবার ও ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই মেয়েটা আর ও একটা বিষয়ের (উচ্চতর গণিত) প্রাইভেট পড়া শুরু করে। সেখানেও ১ ঘন্টা করে সময় দেই।

এখন এই দুই শিক্ষার্থীর মা যিনি,তিনি খুব সম্ভবত মার্চ এর ৩ তারিখ (আমার যতটুকু মনে পড়ছে তারিখ টা) বেতন দিতে আসে। আর আমার হাতে মাত্র ২০০০ টাকা ধরিয়ে দেয়! আমি অবাক হয়ে যাই!
[ বলে রাখা ভালো, আমি নিজেও আগে যেসব স্যারের কাছে পড়েছি তারা ১ ঘন্টা একটা সাব্জেক্টের পেছনে সময় দিলে ১০০০ টাকাই দিতাম। আর ভেবেও নিয়েছিলাম সেই মহিলাও ১০০০ টাকাই দেবেন! মহিলা হয়তো জানেন যেহেতু এগুলো সাইন্সের সাব্জেক্ট, তাই ১০০০ টাকার কমে কেউ ই পড়ায় না! তার উপর আবার সপ্তাহে ৬ দিন ই পড়াই ! ১ ঘন্টা করে পড়াই কখনো বা ১ ঘন্টার বেশি ও পড়িয়েছি।]

তো আমি সেই মহিলাকে বলি, "আন্টি আমি এই টাকা নিব না। যতগুলো সাব্জেক্ট ই পড়াই না কেন, আমি সাব্জেক্ট হিসেবে না ধরে ঘন্টা হিসাব করে টাকা নিব (যেহেতু সাব্জেক্ট হিসাব করলে অনেক টাকা চলে আসে,তাই ঘন্টা হিসাব করে ১০০০ টাকা করে নিব)।

তো বললাম আমি তাদের রেগুলার ৫ ঘন্টা সময় দিয়েছি তাই ৫০০০ টাকা। তিনি বলেন আর ও ১০০০ টাকা দিবো। আমি তাও বললাম, না আন্টি ৫০০০ এর নিচে নিব না।" তো তিনি খুব সম্ভবত মনক্ষুণ্য হয়ে সাথে সাথেই ৫০০০ টাকা দিয়ে গেলেন,কিছুই আর বলেননি। এবং এর পরেরদিন থেকে তার মেয়েদের আর পড়তে পাঠাননি।

তো উপরে বলা হয়েছে — ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে দুইটা প্রাইভেট শুরু করে (২ ঘন্টা), ৩ তারিখ থেকে একটা (১ঘন্টা), ১০ তারিখ থেকে একটা (১ঘন্টা) আর, ২৩ তারিখ থেকে একটা (১ঘন্টা)।

কিন্তু যেহেতু সেই মহিলা মার্চের ৩ বা ৪ তারিখে বেতন দিয়ে যায় মানে ৫০০০ টাকা দিয়ে যায় আর তারপর থেকে তার মেয়েকে আর পাঠাননি। তাই যেই প্রাইভেট টা ২৩ তারিখ থেকে শুরু করেছিল,এবং যদি ২৩ তারিখ থেকে পড়িয়েছিলাম তাও সেটার বেতন আমি নেইনি। মানে সেই মহিলাকে আমার অভিভাবক বাসায় নিয়ে এসে ১০০০ টাকা হাসিমুখে ফেরত দিয়েছে দিয়েছে। যদিও তিনি নিতে অস্বীকার করছিলেন।
তো এটা কি ঠিক হয়েছে? আমার কি কোনো গুনাহ হয়েছে? আমি আসলে নতুন প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেছি। তাই বুঝে উঠতে পারিনি যে, আগেই টাকার কথা বলে নেওয়া উচিত ছিল।ভবিষ্যতে ইন শা আল্লাহ সবাইকে আগেই টাকার কথা বলে নিয়েই তারপর প্রাইভেট পড়ানো শুরু করব। (আসলে আমি প্রায় সিওর ছিলাম যে সাইন্সের সাব্জেক্ট ১ ঘন্টা করে সময় দিলে, আর সপ্তাহে ৬ দিন পড়ালে তিনি ১০০০ ই দেবেন, এর কমে দেবেন না। সম্মানের খাতিরে টাকার কথা শুরুতেই তাকে বলিনি, তবে মাঝে মাঝে মনে হতো কম দেন কিনা, তাও সম্মানের খাতিরে শুরুতেই টাকার কথা বলিনি, ভেবেছিলাম তারা জানেনই।)
by
মুফতি ওলী উল্লা হুজুরের নাম্বারটা পাওয়া যাবে 

1 Answer

0 votes
by (628,650 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত শুরুতে আপনার মাসিক বেতন কত হবে সেটি যেহেতু আপনি নির্ধারণ না করেই পড়ানো শুরু করেছেন, তাই মাস শেষে এভাবে তাকে বাধ্য করে প্রতি ঘন্টায় বিনিময়ে এক হাজার টাকা করে নেওয়া ঠিক হয়নি।

তদুপরি আপনার এলাকার আশেপাশে যদি আপনার মতো প্রতিটি টিচারদের প্রাইভেট পড়ানোর ক্ষেত্রে এভাবে প্রতি ঘন্টায় এক হাজার টাকা করে নেওয়ার প্রচলন হয়,সেক্ষেত্রে আপনার জন্য চার হাজার টাকা গ্রহণ করা নাজায়েজ হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...