আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কারো যদি আসর এর জামাআতের সময় প্রাইভেট থাকে,আর তাই তাকে আসর এর নামাযটা একা একা ঘরে পড়ে নিতে হয়,তখন তার জন্য ওই প্রাইভেট পড়া হালাল হবে কি?যদি মা বাবা জোর করে তখন হুকুম কী?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

অধিকাংশ ফকিহর মতে যে পুরুষ জামাতের সঙ্গে নামায আদায় করতে সক্ষম তার জন্য জামাতের সঙ্গে নামায আদায় করা ওয়াজিব। 

আল্লাহ তাআলার বাণী-
وَإِذَا كُنتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلاَةَ فَلْتَقُمْ طَآئِفَةٌ مِّنْهُم مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُواْ أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُواْ فَلْيَكُونُواْ مِن وَرَآئِكُمْ وَلْتَأْتِ طَآئِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّواْ فَلْيُصَلُّواْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُواْ حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ
যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়। (সূরা নিসা ১০২)

ইবন মুনযির রহ. বলেন,
ففي أمر الله بإقامة الجماعة في حال الخوف : دليل على أن ذلك في حال الأمن أوجب
(উক্ত আয়াতে) আল্লাহ তাআলা ভয়ের পরিস্থিতিতে জামাত কায়েমের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা একথার প্রমাণ যে, এটি সাধারণ অবস্থায় তিনি ওয়াজিব করেছেন। (আলআওসাত ৪/১৩৫)

এজন্য বিনা উযরে মসজিদের জামাতে শরিক না হলে গুনাহ হয়। (এলাউস সুনান  ৪/১৬৬; আহসানুল ফাতাওয়া ৩/২৭১)

★★সুতরাং আছরের সময়ে প্রাইভেট থাকলে,প্রাইভেটের অজুহাত দেখিয়ে জামাত তরক করা জায়েজ হবেনা,বরং সেই শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে জামায়াতের সাথে আছরের নামাজ পড়তে হবে।
যদি শিক্ষক ছুটি না দেয়,তাহলে অন্যত্রে প্রাইভেট পড়তে হবে। 
,
যদি মা বাবা জোড় করে,তাহলে মা বাবার কথা শোনা যাবেনা।
জামায়াতের সাথে নামাজ পড়াকেই প্রাধান্য দিতে হবে। 
কারনে হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سِمْعَانَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِىْ مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ». رَوَاهُ فِىْ شَرْحِ السُّنَّةِ

নাও্ওয়াস ইবনু সিম্‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিপালকের অবাধ্যতার মাঝে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য নেই। 
শারহুস্ সুন্নাহ্ ২৪৫৫,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩৬৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৫২০।

 وَقَالَ لَا طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ 
তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার অবাধ্যতায় কারো আনুগত্য করা যাবে না; আনুগত্য শুধু ভাল কাজে করতে হবে।
(নাসায়ী ৪২০৬,সহীহাহ ১৮১, সহীহ আবু দাউদ ২৩৬০, সহীহ জামে' আস-সগীর ৭৫১৯।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...