আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
কোনো নেককার মানুষের কবরের পাশে দাফন করলে বা নেককার মানুষের কবরের উপর কোনো মৃত ব্যক্তিকে দাফন করলে সে ব্যক্তিকে আল্লাহ সুুবহানাওয়াতায়ালা ক্ষমা করে দিবেেন এমন হাদীস আছে কি?.....................................     ....................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হ্যাঁ নেককার মানুষের কবরের পাশে দাফন করলে তাতে নেক লাভের আশা করা যায়।

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 23159 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الأَوْدِيِّ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ اذْهَبْ إِلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ فَقُلْ يَقْرَأُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ثُمَّ سَلْهَا أَنْ أُدْفَنَ مَعَ صَاحِبَيَّ قَالَتْ كُنْتُ أُرِيدُهُ لِنَفْسِي فَلأ وثِرَنَّهُ الْيَوْمَ عَلَى نَفْسِي فَلَمَّا أَقْبَلَ قَالَ لَهُ مَا لَدَيْكَ قَالَ أَذِنَتْ لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ مَا كَانَ شَيْءٌ أَهَمَّ إِلَيَّ مِنْ ذَلِكَ الْمَضْجَعِ فَإِذَا قُبِضْتُ فَاحْمِلُونِي ثُمَّ سَلِّمُوا ثُمَّ قُلْ يَسْتَأْذِنُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَإِنْ أَذِنَتْ لِي فَادْفِنُونِي وَإِلاَّ فَرُدُّونِي إِلَى مَقَابِرِ الْمُسْلِمِينَ إِنِّي لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا أَحَقَّ بِهَذَا الأَمْرِ مِنْ هَؤُلاَءِ النَّفَرِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ فَمَنْ اسْتَخْلَفُوا بَعْدِي فَهُوَ الْخَلِيفَةُ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا فَسَمَّى عُثْمَانَ وَعَلِيًّا وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ وَعَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ عَوْفٍ وَسَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَوَلَجَ عَلَيْهِ شَابٌّ مِنْ الأَنْصَارِ فَقَالَ أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِبُشْرَى اللهِ كَانَ لَكَ مِنْ الْقَدَمِ فِي الإِسْلاَمِ مَا قَدْ عَلِمْتَ ثُمَّ اسْتُخْلِفْتَ فَعَدَلْتَ ثُمَّ الشَّهَادَةُ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ فَقَالَ لَيْتَنِي يَا ابْنَ أَخِي وَذَلِكَ كَفَافًا لاَ عَلَيَّ وَلاَ لِي أُوصِي الْخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِي بِالْمُهَاجِرِينَ الأَوَّلِينَ خَيْرًا أَنْ يَعْرِفَ لَهُمْ حَقَّهُمْ وَأَنْ يَحْفَظَ لَهُمْ حُرْمَتَهُمْ وَأُوصِيهِ بِالأَنْصَارِ خَيْرًا {الَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالإِيمَانَ} أَنْ يُقْبَلَ مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَيُعْفَى عَنْ مُسِيئِهِمْ وَأُوصِيهِ بِذِمَّةِ اللهِ وَذِمَّةِ رَسُولِهِ أَنْ يُوفَى لَهُمْ بِعَهْدِهِمْ وَأَنْ يُقَاتَلَ مِنْ وَرَائِهِمْ وَأَنْ لاَ يُكَلَّفُوا فَوْقَ طَاقَتِهِمْ

আমর ইবনু মায়মুন আওদী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে দেখলাম তিনি নিজের ছেলে ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, তুমি উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট গিয়ে বল, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আপনাকে সালাম বলেছেন। অতঃপর আমাকে আমার দু’জন সাথী (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বাকর)-এর পাশে দাফন করতে তিনি রাযী আছেন কি না? ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বললেন, আমি পূর্ব হতেই নিজের জন্য এর আশা পোষণ করতাম, কিন্তু আজ ‘উমার (রাঃ)-কে নিজের উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) ফিরে এলে ‘উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কি বার্তা নিয়ে এলে? তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! তিনি [আয়িশা (রাযি.)] আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, সেখানে শয্যা লাভই ছিল আমার নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মৃত্যুর পর আমাকে বহন করে [আয়িশাহ (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত করে] তাঁকে সালাম জানিয়ে বলবে, ‘উমার ইবনু খাত্তাব (পুনরায়) আপনার অনুমতি চাইছেন। তিনি অনুমতি দিলে, আমাকে সেখানে দাফন করবে। অন্যথায় আমাকে মুসলমানদের ক্ববরস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।[1] অতঃপর ‘উমার (রাঃ) বলেন, এ কয়েকজন ব্যক্তি যাঁদের উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা অন্য কাউকে আমি এ খিলাফতের (দায়িত্ব পালনে) অধিক যোগ্য বলে মনে করি না। তাই আমার পর তাঁরা (তাঁদের মধ্য হতে) যাঁকে খালীফা মনোনীত করবেন তিনি খালীফা হবেন।

তোমরা সকলেই তাঁর আদেশ মেনে চলবে, তাঁর আনুগত্য করবে। এ বলে তিনি ‘উসমান, ‘আলী, তালহা, যুবাইর, ‘আবদুর রাহমান ইবনু আওফ ও সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করলেন। এ সময়ে এক আনসারী যুবক ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহ্ প্রদত্ত সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি ইসলামের ছায়াতলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন যা আপনিও জানেন। অতঃপর আপনাকে খলীফা নিযুক্ত করা হয় এবং আপনি ন্যায়বিচার করেছেন। সর্বোপরি আপনি শাহাদাত লাভ করছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে ভাতিজা! যদি তা আমার জন্য লাভ লোকসানের না হয়ে বরাবর হয়, তবে কতই না ভাল হবে। (তিনি বললেন) আমার পরবর্তী খলীফাকে ওয়াসিয়্যাত করে যাচ্ছি, তিনি যেন প্রথম দিকের মুহাজিরদের ব্যাপারে যত্নবান হন, তাঁদের হক আদায় করে চলেন, যেন তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন। আমি তাঁকে আনসারদের সাথেও সদাচারের উপদেশ দেই, যারা ঈমান ও মাদ্বীনাকে অাঁকড়ে ধরে রয়েছেন, যেন তাঁদের মধ্যকার সৎকর্মপরায়ণদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় এবং তাঁদের মধ্যকার (লঘু) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সর্বশেষে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দায়িত্বভুক্ত (সর্বস্তরের মু’মিনদের সম্পর্কে) সতর্ক করে দিচ্ছি যেন মু’মিনদের সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করা হয়, তাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা হয় এবং সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব তাদের উপর অর্পণ করা না হয়। (বুখারী শরীফ ৩০৫২, ৩১৬২, ৩৭০০, ৪৮৮৮, ৭২০৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩১০)
,
وَعَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَوْصَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ لاَ تَدْفِنِّي مَعَهُمْ وَادْفِنِّي مَعَ صَوَاحِبِي بِالْبَقِيعِ لاَ أُزَكَّى بِهِ أَبَدًا

 ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ)-কে অসিয়্যত করেছিলেন, আমাকে তাঁদের (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর দু’ সাহাবী) পাশে দাফন করবে না। বরং আমাকে আমার সঙ্গিনীদের সাথে বাকী‘তে দাফন করবে যাতে আমি চিরকালের জন্য প্রশংসিত হতে না থাকি। (বুখারী শরীফ ৭৩২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০১ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩০৯)

قال العیني في شرح الحدیث المتقدم فیہ الحرص علی مجاورة الصالحین في القبور طمعًا في إصابة الرحمة إذا نزلت علیہم وفي دعاء من یزورہم من أہل الخیر (عمدة القاري: ۸/۲۳۰) 
সারমর্মঃ
উল্লেখিত হাদীসের ভিত্তিতে নেককার লোকদের পাশে কবর,তাদের উপর যখন রহমত নাযিল হয়,সেই রহমত তার কবরেও পৌছা,তার কবরের জন্য যিরারত কারীদের দোয়াতার কবরেও পৌছা,এমন লোভ করা যায়।

قال في الہندیة: والأفضل الدفن في المقبرة التي فیہا قبور الصالحین (عالم گیري: ۱/۱۶۶، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ
উত্তম হলো এমন কবরস্থানে দাফন হওয়া,যেখানে নেককারদের কবর আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...