আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।দীর্ঘদিন যাবৎ আমার দাঁতের সমস্যা। পূর্বে হিদায়াতের বুজ যখন ছিল না তখন পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে ট্রিটমেন্ট করানো হয়েছিল। আমি আলহামদুলিল্লাহ এখন খাস পর্দা মেনে চলাফেরা করার চেষ্টা করি। হিদায়াতের পর পুনরায় দাঁতের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় পুরুষ ডাক্তার দেখাবো না বিধায় স্থানীয় মহিলা চিকিৎসক খুঁজে চিকিৎসা নেই(কয়েকজনকে দেখিয়েছিলাম)।কিন্তু অভিজ্ঞ ডাক্তার না হওয়ায় দাঁতের সমস্যা সমাধান হয়নি বরং ডাক্তারের দেওয়া ঔষধের সাইড ইফেক্ট এখনো রয়ে গেছে। বর্তমানে আমার দাঁতের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করেছে।এখন বাড়ি থেকে জেলাশহরে গিয়ে দূরের মহিলা ডেন্টিসদের কাছে গিয়ে সময়সাপেক্ষ চিকিৎসা নেওয়া আমার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য+প্রায় অসম্ভব।(কারণ: ব্যয়বহুল খরচ,যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি)। আমার কোনো ইচ্ছে নেই পুরুষ ডাক্তার দেখানোর কিন্তু  দিনদিন সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে,এখন আমার জন্য স্থানীয় মুসলিম পুরুষ ডাক্তার দেখানো কি জায়েজ হবে? জায়েজ হলে মুখের কতটুকু অংশ খোলা রাখতে পারবো?

1 Answer

0 votes
ago by (620,220 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/7711/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ  
শরীয়তের মূলনীতি হল, পুরুষ যাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে, মহিলা যাবে মহিলা ডাক্তারের কাছে। যদি পুরুষ ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে মহিলা ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। অনুরূপভাবে মহিলার জন্যও যদি মহিলা ডাক্তার না পাওয়া না যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। (সারাখসী, আল-মাবসূত ১০/১৫৬ ; কাসানী,বাদাই ৫/১২২)

হযরত আনাস ইবনু মালিক রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كان رسول الله ﷺ يغزو بأم سليم ونسوة من الأنصار معه إذا غزا فيسقين الماء ويداوين الجرحى

রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন অভিযানে বের হতেন তখন তিনি উম্মু সুলাইম রাযি. ও কিছু আনসারী মহিলাকে সাথে নিয়ে যেতেন। তাঁরা পানি পরিবেশন করতেন এবং আহতদের চিকিৎসা করতেন। (মুসলিম ১৮১০)

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেন,

وهذه المداواة لمحارمهن وأزواجهن ، وما كان منها لغيرهم لا يكون فيه مس بشرة إلا في موضع الحاجة

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে মেয়েদের বের হওয়া এবং পানি পরিবেশন ও চিকিৎসা প্রভৃতি কাজে তাদেরকে খাটানো জায়িয। তারা মাহরাম ও স্বামীদের চিকিৎসা ও সেবা করবে। অন্যদেরও সাধারণভাবে স্পর্শ করা ছাড়া চিকিৎসা করতে পারবে; তদুপরি জরুরতের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় স্থান স্পর্শ করতেও কোন অসুবিধা নেই। (নববী, শরহু মুসলিম, পৃ ৫১১)

ইবনু হাজার আসকালানী রহ. বলেন,

فيه جواز معالجة المرأة الأجنبية الرجل الأجنبي للضرورة

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে মহিলার জন্য বেগানা পুরুষের চিকিৎসা করা জায়িয হবে।  (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৮০)

আরো জানুনঃ 
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন 
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি স্থানীয় সেই বিজ্ঞ পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে পারবেন।

এক্ষেত্রে যতটুকু জরুরত,ততটুকু চেহারা খুলবেন।
কানের অংশ খোলার যেহেতু জরুরত নেই,তাই কানের অংশ খুলবেননা। মাথা,চুল,কান হিজাব দিয়ে ঢেকে রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...