মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اِنۡ ہِیَ اِلَّاۤ اَسۡمَآءٌ سَمَّیۡتُمُوۡہَاۤ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ مَّاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ بِہَا مِنۡ سُلۡطٰنٍ ؕ اِنۡ یَّتَّبِعُوۡنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ مَا تَہۡوَی الۡاَنۡفُسُ ۚ وَ لَقَدۡ جَآءَہُمۡ مِّنۡ رَّبِّہِمُ الۡہُدٰی ﴿ؕ۲۳﴾
এগুলো কিছু নাম মাত্র যা তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ্ কোন দলীল-প্রমাণ নাযিল করেননি। তারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে হেদায়াত এসেছে।
(সুরা নাজম ২৩)
اَمۡ لِلۡاِنۡسَانِ مَا تَمَنّٰی ﴿۫ۖ۲۴﴾
মানুষ যা চায় তাই কি সে পায়?
(সুরা নাজম ২৪)
فَلِلّٰہِ الۡاٰخِرَۃُ وَ الۡاُوۡلٰی ﴿۲۵﴾
বস্তুতঃ আখেরাত ও দুনিয়া আল্লাহরই।
(সুরা নাজম ২৫)
اَلَّا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ﴿ۙ۳۸﴾
তা এই যে, কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না।
(সুরা নাজম ৩৮)
وَ اَنۡ لَّیۡسَ لِلۡاِنۡسَانِ اِلَّا مَا سَعٰی ﴿ۙ۳۹﴾
আর এই যে, মানুষ তাই পায় যা সে চেষ্টা করে।
(সুরা নাজম ৩৯)
অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি যা পরিণতি ভোগ করবে তা তার কৃতকর্মেরই ফল। চেষ্টা সাধনা ছাড়া কেউ-ই কিছু লাভ করতে পারে না।
وَ اَنَّ سَعۡیَہٗ سَوۡفَ یُرٰی ﴿۪۴۰﴾
আর এই যে, তার প্রচেষ্টার ফল শীঘ্রই দেখা যাবে।
(সুরা নাজম ৪০)
সুরা নাজম-২৪ নং আয়াতে মূলত বুঝানো হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা যাকে যেটা দিবেন সেটাই তার প্রাপ্য এক্ষেত্রে মানুষ যাহা আকাঙ্ক্ষা করবে, আল্লাহর কাছে যাহা চাইবে, সবই যে পাবে বা তার সকল আকাঙ্ক্ষাই যে পূরণ হবে, বিষয়টি এমন নয়।
এমনও হতে পারে তিনি আল্লাহর কাছে যা কিছু আকাঙ্ক্ষা করছেন, সেটা আল্লাহ তাআলা তাকে নাও দিতে পারেন।
★সুরা নাজম-৩৯ নং আয়াতে মূলত বুঝানো হয়েছে যে প্রত্যেক ব্যক্তি যা পরিণতি ভোগ করবে তা তার কৃতকর্মেরই ফল। কেউ অন্যের পাপের বোঝা বহন করবেনা।