আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
দ্বীনের পথে আসার পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ,, চাকরি করার চিন্তা বাদ দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে,,,তা সত্ত্বেও মা বাবা চায় আমি যেনো ক্যাডার ( ম্যাজিস্ট্রেট বা পাওয়ারফুল পর্যায়ের কোনো জব) হই,যা কিনা পর্দা করে হওয়া সম্ভব না।আর আমি কোনো ভাবেই পর্দা স্যাক্রিফাইস করতে পারবো না।আমি তাদের কে কিছুতেই বুঝিয়ে পারছি না যে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে মেয়েদের বাইরে জব করা আল্লহ নিষেধ করেছেন। আমি জব করতে চাই না শুনলে তারা খুব কষ্ট পায়,,, ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইলড হই। এই অবস্থায় আমার কি করনীয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিবাহের পূর্বে মহিলাদের ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার পিতার উপর।পিতা না থাকলে বড় ভাই বা অন্যান্য গার্জিয়ানদের উপর।আর বিবাহের পর তার স্বামীর উপর।অতঃপর ছেলের উপর। তাই নিজের পায়ে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মহিলাদের ভবিষ্যৎ চিন্তার আশু কোন প্রয়োজন নেই।
কারণ, আল্লাহ তা'আলা এটা বহু পূর্বেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন। 
তবে যদি দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি না থাকে অথবা থাকা সত্ত্বেও দেখাশুনা না করে বা করতে না পারে, 
তখন নিজের চলার জন্য নারী এমন কোনো পেশা গ্রহণ করতে পারে যেখানে শর'য়ী পর্দা লংঘিত হববে না। যেমনঃ- নুরানী মুআল্লীম ট্রেনিং নিয়ে বাড়ীতে বসে মহিলাগণকে কুরআনের তা'লীম দেওয়া, হাতের কাজ করা ইত্যাদি।
সর্বাবস্থায় সহ-চাকুরী থেকে বিরত থাকবে,কিন্ত যদি পূর্ণ পর্দার সাথে চাকুরী করতে অপরগ হয় অথবা সহ-চাকুরী ব্যতীত জীবিকানির্বাহের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে এতমাবস্থায় অন্যান্য হারাম কাজে জড়িত না হয়ে ইস্তেগফারের সাথে উক্ত চাকুরী করবে এবং সাথে সাথে পর্দাসহ চাকুরীকে খুজতে থাকবে।
ফটো তুলা হারাম ও নাজায়েয,তা যেকোনো মাধ্যমেই হোক।প্রিন্ট ছবি এবং মুবাইল স্কীনের ছবি সবটির হুকুম একই,অর্থ্যাৎ হারাম।প্রথমে ছবি মুক্ত কোনো কোনো চাকুরীর খোজ নিববে, যদি পাওয়া যায় তাহলে তাই করবে,আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে ইস্তেগফারের সাথে জরুরতের ধরুণ বৈধ আছে।
কেননা ফুকাহায়ে কিরামগণের মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ মূলনীতি হল 
(১) ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা বা ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
(আল আসবাহ ওয়ান নাযাইর-ইবনে নুজাইম ১/২৭৫)
এখানে অনেক প্রকার প্রয়োজন রয়েছে
(১)যদি সে এ চাকুরী না করে তাহলে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে,যদ্দরুন তার কোনো হারাম কাজে পতিত হওয়ার আশংকা থেকে যায়।
(২)যোগ্য মানুষ চাকুরীতে না যাওয়ার ধরুণ অযোগ্য ব্যক্তি সরকারী চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হবে।
(৩)সবচেয়ে ভয়ংকর যে ক্ষতিটা হবে সেটা হল এতে অমুসলিমরা সরকারী চাকুরী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দেশটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে।
প্রমাণ-
সূরা বাক্বারা, ২৩৩#সূরা আহযাব,৩৩#সূরা মায়েদা, ২#মিশকাত শরীফ-২:২৬৯#হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, ২:৩৩৮#মা'রিফুল কুরআন৭:১৩৫#ফাতাওয়ায়ে রাহীমিয়া ৪:৯৪।আরো জানুন-৬৩২


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার মাতাপিতাকে বুঝিয়ে চাকুরী থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে পারেন।আর ইসলাম ও মুসলমান এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে ন্যায় ও ইনসাফের পথে যদি কিছু ভালো কাজ করার পূর্ণ ও পাক্কা ইরাদা থাকে,তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে যথা সম্ভব পর্দা রক্ষার্থে ইস্তেগফারের সাথে যোগদান করার রুখসত এখনকার সময়ের দাবী।
উভয় রাস্তাই আপনার সামনে রয়েছে।তবে সরকারী চাকুরীতে যেয়ে একা কতটুকু করতে পারবেন।সমাজকে পরিবর্তন করতে পারবেন?  না নিজেই পরিবর্তন হবেন? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।সেজন্য আমরা বলব,চাকুরীতে জয়েন হওয়া থেকে ঘরে বসে থাকাটাই নিরাপদ।
যদি চাকুরীতে জয়েন হওয়ার ইচ্ছা করেন,তাহলে অবশ্যই ফিতনার দ্বারকে বন্ধ করতে ইতিপূর্বে দ্বীনদার কোনো পাত্রকে বিয়ে করে নেবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...