আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
298 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম সম্মানিত শাইখ...
আমি যতটুকু জানতে পেরেছি কাযা সালাত আদায় করার ব্যাপারে একটি ক্ষেত্রে প্রায় সকল উলামায়ে কেরাম  একমত...আর সেটা হলো যে যদি কাযা সালাত টা খুব বেশিদিন আগের না হয় যেমন ১ সপ্তাহ/ ১ মাস আগের তাহলে ব্যক্তি যতদ্রুত সম্ভব তা আদায় করে নিবে ।
কিন্তু অনেক বছর এর কাযা সালাত এর ক্ষেত্রে দুই ধরনের মত দেখতে পেয়েছি...একটি হলো তাওবা করা,বেশি করে নফল আদায় করা মানে কাযা আদায় করা লাগবে নাহ আর ... আর অন্য মতটি হলো কাযা আদায় করতে হবে...উভয় পক্ষের ই দলিল আছে...আমি ব্যক্তিগতভাবে দ্বিতীয় মতটিকেই গ্রহণ করেছি...

এখন প্রশ্ন হলোঃ আমি দ্বীনের পূর্ণ বুঝ আসার আগ থেকেই সালাত পড়তাম যেহেতু ফ্যামিলি তে আব্বা আম্মা ও সালাত পড়তেন...মানে ছোট থেকে দেখে দেখেই শিখেছি...কিন্তু ইন্টারে কলেজের ফাইনাল  টেস্ট পরীক্ষার আগ অব্ধি দ্বীনের বেসিক কোনো বুঝ ই ছিল নাহ...জানতাম না যে সালাত ত্যাগ করলে অনেক ইমামদের,আলেমদের মতে কাফির হয়ে যেতে হয়,যিনা করলে কি শাস্তি,হালাল হারামের বিস্তারিত,বিদআত এসব কিছুই জানতাম নাহ তখনো...যখন থেকে আমার সালাত ফরজ হয়েছে তখন থেকে আমি সালাত পড়েছি...দেখা গেছে কখনো ৩ ওয়াক্ত কখনো ৪ ওয়াক্ত আবার অনেক সময় ফজর সহ ৫ ওয়াক্ত...তাহাজ্জুদ ও পড়তাম্,কিন্তু সিরিয়াস বুঝ না থাকার কারণে অনেক সময় সালাত ছেড়ে দিতাম... দেখা গেছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম ।।মাগরিব এর সালাত এর টাইম চলে গেছে পড়া হয় নি,।।তারপর কখনো কখনো সেটা বাসায় এসে রাতে এশার সালাত এর সাথে পড়েছি...আবার কখনো পড়ি নি...মানে মোটকথা হলো আমি টোটালি কখনোই সালাত ছেড়ে দেই নি বা সালাত থেকে দূরে ছিলাম নাহ...স্পেশালি ক্লাস নাইন টেন থেকে  বলতে গেলে সব সময়(৯৯% টাইম ই) আমি চার ওয়াক্ত সালাত পড়েছি...ফজর টা রেগুলার ছিল নাহ...কিন্তু ঘুম থেকে উঠে পড়ে নিতাম মাঝে মাঝে..অনেক আগের কথা ..তাই ১০০% মনেও নাই...বাট চার ওয়াক্ত মাস্ট পড়তাম ...ফজর টা মাঝে মাঝে টানা পড়তাম... এখন আমার ক্ষেত্রে বিধান টা কি হবে? যেহেতু আলহামদুলিল্লাহ  আমি একেবারেই সালাত থেকে দূরে ছিলাম নাহ কখনোই ... এখন এই যে আমার সালাত গুলো মিস হয়ে গেছিলো সেটার জন্য কি করা সবচেয়ে উত্তম...মেইনলি ফজর টা ই বেশি মিস হইত ...বাকিগুলো খুব কম...ক্লাস নাইন টেনের  আগে আমি আসলে কিছুই বুঝতাম নাহ...একদম বোকাসোকা ছিলাম...স্কুলে যেতাম আসতাম...আর পাঠ্যবই্...তাই তখন ও সালাত টা অতো সিরিয়াসলি পড়া হয় নাই...বাট পড়তাম...

এই কাযা সালাত গুলো  কি নিষিদ্ধ বা মাকরূহ সময়েও আদায় করা যাবে?

আরেকটা প্রশ্ন হলো ওয়াজিব সালাত (বিতর এর সালাত) এর কি কাযা আদায়  করতে হবে?
জাযাকুমুল্লাহু খইরন
by (9 points)
সম্মানিত শাইখ উত্তর টা জানা দরকার ছিল

1 Answer

+1 vote
by (589,200 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

ছুটে যাওয়া নামায গুলোকে কা'যা করবেন।বিশেষ করে আপনার ধারনায় যে ওয়াক্তের নামায বেশী ছুটে গেছে,সে ওয়াক্তের সমূহ নামাযকে কা'যা করে নিবেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-968

নিষিদ্ধ সময়ে কা'যা করা যাবে না।

জ্বী বিতিরের ও কা'যা করতে হবে।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 173 views
...