আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
1,680 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
edited by

আসসালামু আ'লাইকুম সম্মানিত শায়খ

আমরা মোবাইলে (সাপোজ) ২০ টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিলে নেক্সট টাইম মোবাইলে টাকা ঢুকানোর পর সিম কোম্পানি ২০ টাকার চেয়ে কিছু বেশি কেটে নেয়(আমাদের অনুমতি ব্যতীত)

এখন এইযে এক্সট্রা কিছু অংশ তারা আমাদের অনুমতি ব্যতীত কেটে নিচ্ছে এটা কি সুদ হবে আর এরকম ইমারজেন্সী ব্যালেন্স নেওয়া কি তাহলে জায়েজ হবে?

 সম্মানিত শায়খ...আমি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেই না এখন...কিন্তু আমার এক চাচাতো ভাই আমার সিম থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে ফেলেছে (আমাকে না জানিয়ে)...এছাড়া অজ্ঞতার কারনে আমিও আগে অনেক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এনেছিলাম,... এজন্য এখন করনীয় কি? জাযাকাল্লাহু খইর সম্মানিত শায়খ

জাযাকাল্লাহ খইর সম্মানিত শায়খ

1 Answer

+3 votes
by (708,320 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ বিষয়টাকে অনেকভাবে বিবেচনা করা যায়।
কয়েকটি দৃষ্টিভঙ্গি নিচে তুলে ধরা হল।

(প্রথমতঃ)
 সহীহ সনদ ও বহু আসরের সহায়তায়,সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য মূলনীতি

"প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে তা রিবা'র অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হবে।"(আল-আশবাহ ওয়াননাযাইর, ইবনে নুজাইম, ১/২২৬।)

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে প্রশ্নে বর্ণিত -ঋণ আদান- প্রদাণ পদ্ধতি- না জায়েয হওয়াই যুক্তিসংগত।

কেননা এখানে মুবাইল অপারেটর কম্পানি ঋণ দিয়ে পরে এর চেয়ে বেশী গ্রাহকের কাছ থেকে উসূল করেছে।

(দ্বিতীয়ত)
এখানে কমবেশ করে লেনদেন এক جنس-জাতে হচ্ছে না, বরং ভিন্ন-ভিন্ন جنس- জাতে হচ্ছে।

অথচ সুদ হিসেবে হারাম হচ্ছে,এক جنس-জাতে কমবেশ করে লেনদেন করা বা হওয়া।

কেননা এখানে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করা, যা মূলত টাকা নয়,বরংএক প্রকার সুবিধা গ্রহণ।

তার প্রমাণ হলো, উক্ত টাকাকে আপনি কথা বলা ছাড়া আর কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।

অথচ সাধারন টাকা বা ব্যালেন্স  সবধরণের কাজে ব্যবহার করা যায়।কিন্ত এখানে তা সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে সাধারণ মুবাইল ব্যালেন্স দ্বারা প্রায় অনেক কিছুই করা যায়।

তাই বুঝাগেল এখানে কমবেশ করে  লেনদেন এক جنس-জাতে হচ্ছেনা।
যা হারাম হওয়ার মূল কারণ।

(তৃতীয়ত)
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স যাকে একটি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

এবং কোনো পন্যকে বাকীতে ক্রয়মূল্য থেকে বেশী দিয়েও ক্রয় করা জায়েয আছে।

এ হিসেবে আমরা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সকে একটি পণ্য হিসেবেই বিবেচনা করব।যাকে পরবর্তিতে পরিশোধ করার শর্তে ক্রয়মূল্য থেকে বেশী দিয়ে আপাতত ক্রয় করা হচ্ছে।

তাই আমরা বলতে পারি ১০টাকা ইমার্জেন্সি এনে ১২টাকা বা তার বেশী পরিশোধ করা বৈধ রয়েছে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফেকহী মূলনীতি
إذَا اجْتَمَعَ الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ غَلَبَ الْحَرَام
যখন হালাল এবং হারাম কোনো এক বিষয়ে একত্রিত হবে তখন হারামই বিজয়ী হবে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-১/৯৩)

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে প্রচলিত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে অনেক রকম আলোচনা পাওয়া যায়।একদিক দিয়ে চিন্তা করলে হালাল মনে হয় আর অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করলে হারাম মনে হয়।সুতরাং যদিও এটা জায়েয,তবে না আনাই
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...