আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
সূরা আহযাব আয়াত ২৫।

ওয়া রাদ্দাল্লা-হুল্লাযীনা কাফারু বিগাইজি হিম লাম ইয়ানা- লু খাইরাওঁ ওয়া কাফাল্লা-হুল মু'মিনীনাল কি তা-লা ওয়া কা-নাল্লা-হু কাওয়িইইয়ান 'আঝীঝা-!

আমল করার নিয়মঃ-

ফজরের নামাজের পর এবং আসরের নামাজের পর আউজুবিল্লাহর সহিত আয়াতুল কুরসি ১ বার আর আয়াতটি ১১ বার। ১১টি ফু দিয়ে শরীর মাসাস করবেন।এরপর ১বার আয়াতুল কুরসি

এবং ১১ বার আয়াতটি ফু দিয়ে পানি পড়ে খেতে হবে। মোট ১৪ দিন সকাল,বিকাল


।। প্রশ্ন --1

এই আমল টি কি সহিহ কি না ,  জাদু ঘুরে যাবে বিষয়টা কেমন যেন , জাদুআক্রান্ত ব্যক্তি আবার ঘুরে দিচ্ছে তাতে তো সেও জাদুকর এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ।
স্বপ্ন ব্যখ্যা --2
স্বপ্নে দেখি যুদ্ধ লাগছে মুসলিম অমুসলিম বা বাংলাদেশ ভারত সম্ভবত । প্রথমে আমি সাধারণ মানুষ কিন্তু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে মুসলিম শিবিরে যাই , প্রথমে সন্দেহ করে যে আমি অমুসলিম দের গুপ্তচর কি না এজন্য পরীক্ষা করে এবং কমান্ডার আমার কনফিডেন্স এবং সাহসিকটা দেখে তার সাথে রেখে দেয় এবং প্রশিক্ষণ দেয় এবং আমি সেখানেও ভাল করি অস্ত্র চালনায় ।   এরপর মুসলিম শিবির এ একজন অমুসলিম গুপ্তচর থাকে সে আমার কমান্ডার কে মেরে ফেলে  এবং প্রতিশোধ স্বরূপ ঐ ঘাতক অমুসলিম এর সাথে আমার যুদ্ধ শুরু হয় , এক পর্যায়ে আমি একা সাথে একটা বন্দুক এবং একটা ম্যাগাজিন মাত্র অন্যদিকে ঐ ঘাতক এর দল চলে আসে ,আমি পালাতে থাকি কিন্তু আমার ইন্টেনসন থাকে ঐ ঘাতক কে মেরে পালাব এজন্য পুরোপুরি পালাচ্ছি না ,হিট এন্ড রান টেকনিক ইউজ করতেছি ,একটু যাচ্ছি আর ওদের জন্য ওয়েট করতেছি যখনই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে গুলি করে পালচ্চি ,এভাবে যেতে যেতে ঐ ঘাতক কে মেরে ফেলেছি , এদিকে ওর দলের লোকরা আমার পিছে পিছে আছেই ,আমি যেহেতু একা জানি যে মারা যাব এজন্য সেইম হিট এন্ড রান টেকনিক এ ওদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি এক পর্যায়ে তাদের দেখতে পেয়ে গুলি করি কিন্তু আমার গুলি শেষ এরপর আমি তাদের কাছে বন্দী হয়ে যাই অথবা গুলি খেয়ে মারা যাই ।
উক্ত স্বপ্ন দেখার পর কোন প্রকার কোন ভয় পাই নাই , একটা আফসোস লাগতেছিল যে যদি আমার কাছে গুলি থাকত আরও হয়ত আরও ।
এই স্বপ্নের ব্যখ্যা কি  উস্তাদয ?

1 Answer

0 votes
by (618,420 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কোরআন হাদিসের কোথাও উক্ত আমলের কথা নেই। তবে কোন বুযুর্গানে দ্বীনের বলে দেওয়া আমল হতে পারে। তাই আবশ্যকীয় মনে না করে দ্বীনের অংশ মনে না করে উক্ত আমলটি করা যাবে, সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এটি একটি ভালো স্বপ্ন,আলহামদুলিল্লাহ।  আপনি আত্মার কামনা-বাসনা এবং শয়তানের চক্রান্ত থেকে সুরক্ষিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ, 
এবং সুন্নাহ অনুসরণের সম্পদে ধন্য হবেন এবং মহান মর্যাদা অর্জন করবেন।
ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 378 views
...