আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in পবিত্রতা (Purity) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.গোসলের সময় বালতিতে পানি নিয়ে গোসল করার সময় গায়ে যে পানি ঢালি সে পানি তো ছিটা ফোটা কিছু না কিছু বালতির ভালো পানিতে পড়ে। এভাবে ভালো পানিতে গায়ের দেয়া ব্যবহৃত পানি ছিটা ফোটা পড়লে কি বালতির পাক পানি নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে???

২.বাচ্চার পায়খানা পরিস্কার করে দেয়ার সময় পানির ছিটা পায়জামায় এসে পড়ে এতে কি পায়জামা নাপাক হয়ে যায়??

৩.ভাড়া বাসায় উঠে সেই বাসার গ্রিল, দরজা, জানালায় কি পাক কাপড় শুকাতে দিলে নাপাক হবে??? কারণ আমি তো জানি আগের বসবাসকারী ভাড়াটে ফ্যামিলির মানুষ জন সেই সব গ্রিল, বেলকনি,দরজা,জানালা নাপাক করে রেখে গিয়েছে কিনা।এখন এসব তো ধোয়াও সম্ভব না। তাহলে উপায় কি??

৪.মেহমানের বাসায় গেলে নামাজ কালাম পাক পবিত্রতা খুব কঠিন হয়ে পড়ে কারণ তাদের কাপড় শুকানো দড়ি পাক নাকি নাপাক আমি জানি না, তাদের জায়নামাজ পাক নাকি নাপাক আমি জানি না,তাদের বাথরুমের ফ্লোর পাক নাকি নাপাক আমি জানি না,তাদের বালিশের কাভার পাক নাকি নাপাক আমি জানি না।মেহমানের বাসায় তো কাপড় শুকানো দড়ি,বালিশের কাভার,জায়নামাজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।এসব দেখলে তারা হয়ত মাইন্ড করতে পারে।তাদের পাক নাপাক নিয়ে সচেতনতা বা জ্ঞান কম বলেই মনে হয়। এক্ষেত্রে এটা কি আমার সমস্যা?? এসবের সমাধান কি?? ইবাদাত সহজ করার উপায় কি?? এসব নিয়ে আমি বিরক্ত সেই সাথে আমার এসব প্রশ্ন, সন্দেহ আর পাক নাপাক কর্মকান্ডে আমার উপর আমার হাজবেন্ডও বিরক্ত।এর সমাধান কি??

1 Answer

0 votes
ago by (617,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي جَفْنَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لِيَتَوَضَّأَ مِنْهَا - أَوْ يَغْتَسِلَ - فَقَالَتْ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَاءَ لَا يُجْنُبُ " . - صحيح

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক স্ত্রী বড় একটি পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশিষ্ট পানি দ্বারা অযু অথবা গোসল করতে আসলেন। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো জুনুবী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি অপবিত্র হয় না।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৬৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ নারীর ব্যবহৃত পানি দিয়ে উযু করার অনুমতি প্রসঙ্গে, হাঃ ৩৭০), হাকিম (১/১৫৯)। 

جاء في الفتاوي السراجية: ص 34 (ط. الاتحاد ) كتاب الطهارة : الماء المستعمل في الوضوء في رواية محمد عن أبي حنيفة رحمهما الله تعالى : طاهر ، و عليه الفتوى ، انتهى
وجاء في الامداد الفتاح : ص: 36 ( الاتحاد ) كتاب الطهارة : فإن اختلط رطلان من الماء المستعمل ، برطل من المطلق، لايجوز به الوضوء ، و بعكسه جاء . انتهى

যার সারমর্ম হলো
অযুর ব্যাবহারিত পানি পাক,এর উপরেই ফতোয়া।
যদি দুই রিতিল ব্যবহারিত পানির সাথে এক রিতিল সাধারণ পানি মিলে যায়,তাহলে সেই পানির দ্বারা অযু গোসল জায়েয হবেনা। 
অন্যথায় জায়েজ হবে।   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এভাবে ভালো পানিতে গায়ে দেয়া ব্যবহৃত পানি ছিটা ফোটা পড়লে বালতির পাক পানি নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রশ্নে উল্লেখিত বালতিতে গোসলের অব্যবহৃত পবিত্র পানির পরিমান যদি গায়ে থেকে ছিটে আসা ব্যবহৃত পানির তুলনায় বেশি হয় , তাহলে সে পানি দিয়ে ওজু,গোসল বৈধ হবে ।

আর যদি ব্যবহারিত পানিই বেশি হয়,তাহলে সেই বালতির পানি দিয়ে অযু গোসল বৈধ হবেনা।
,
★উক্ত বালতিতে ব্যবহারিত পানির অল্প কিছু ছিটা আসার দ্বারা সেই বালতির পানি দিয়ে অযু গোসল করতে কোনো সমস্যা নেই।
সেই পানি ফেলে দিতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ 

★উল্লেখ্য, আপনি যদি ফরজ গোসল করেন,সেক্ষেত্রে শরীরের নাপাকি বা তার ছিটা যদি বালতির পানিতে পড়ে,সেক্ষেত্রে পুরো বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে পায়জামায় পায়খানা কোনো গন্ধ/চিহ্ন পাওয়া না গেলে পায়জামা পাক বলে বিবেচিত হবে।

অন্যথায় তাহা নাপাক হয়ে যাবে।

(০৩)
ভাড়া বাসায় উঠে সেই বাসার গ্রিল, দরজা, জানালায় পাক কাপড় শুকাতে দিলে কাপড় নাপাক হবেনা।

তবে কোথাও নাপাকির চিহ্ন বা গন্ধ পেলে সেই স্থান ধুয়ে তারপর সেখানে কাপড় শুকাতে  দিবেন।

(০৪)
এতো সন্দেহ করার প্রয়োজন নেই।
আপনার প্রতি পরামর্শঃ-

মেহমানদের বাসায় বেড়াতে গেলে সেক্ষেত্রে নামাজের আগে যখন আপনি ওয়াশরুমে গিয়ে ওযু করবেন,এমতাবস্থায় অযু শেষ করে আপনি অজু খানার ভিতরেই পা মুছে ফ্লোরের শুকনো স্থানে পা দিবেন, এরপর আপনি কোন ভেজা জায়গায় পা না দিয়ে সরাসরি জায়নামাজে এসে নামাজ আদায় করবেন।

এবং যাবতীয় সন্দেহকে পরিহার করে চলবেন, ইনশাআল্লাহ আপনার ইবাদতে কোন সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,364 views
...