আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
আমি যখন ঢাকা তে পরতে গেসিলাম তখন বিয়ে করছিলাম আমার পরিবার থেকে বিয়ে 25 বছর এ দিতে চাইতো আর বলত আগে পড়াশুনা শেষ করো তো বিয়ে করার পর স্বামীর সাথে রিলেশন ভাল ছিল । কিন্তু সে আমাকে তাবিজ পরাতো পরে আমাদের সম্পক খারাপ হয়ে গেছে আমাকে স্বামী তার সাথে নিয়ে যায় নি তার বাবা মা দিয়ে ।আর আমার স্বামী খালি আমাকে ব্লক করে রাখে আর কয়েকদিন পর পর নতুন মেয়ের সাথে ছবি দেয় তার । আর আমি সিয়র না বিয়ে টা তারা ঠিক করে করছে নাকি নাকি নকল কিন্তু ওখানে একজন কাজী আর তার ২/৩ জন বন্ধু ছিল ।আর কালেমা পরতে বলছিল ।এখন আমি যেহেতু স্বামী নিয়ে যায় না তাই আমাকে বাসায় খালি ছেলেদের দিয়ে দেখায় । বাবা মা জানে আমি বিয়ে করছি তারপর তারা আমাকে দেখায় ।আমি তালাক ও দিতে পারছি না। কাল আব্বু যাকে পছন্দ করছে পারভেজ নাম সেই ছেলে আসতেছে আমি পদা করি বললাম মানা করে দিতে আর বলতে আমার ছেলে পছন্দ হয় নাই । কিন্তু তারা কিন্তু বলতে পারে কোন অজুহাত দিয়ে তারা বিজি । কিন্তু আমাকে এভাবে  অতাচার করবে শুধু। আমি বলি তালাক হয়ে নিক তারপর দেখাই ও তার পর ও আমি একা কোনো পরিবার এর সাপোর্ট না থাকলে পুলিশ এর কাছে ও যেতে পারবো কিভাবে ।আর তার জন্ন ওয়েট করতে করতে আমার বয়স অনেক হয়ে গেছে । কিন্তু তাদের যদি বলি তাহলে তারা আমাকে বকে আর মারে খালি এভাবে আমিলছেলে দেখতে চাই না ।এভাবে কাউকে বিয়ে করলে আমার বিয়েটা কি হারাম হবে ?আমি করতে চাই না।আজকে কি আমার তালাক দিয়ে আসা উচিত
কারন আমার স্বামী আমার সাথে কোন যোগাযোগ ই করে না  । কি করা উচিত এই  সময় ?আম্মু কুরআন পারে না তাই আমি আরও একটু তাকে কুরআন শিখাচ্ছিলাম কিন্তু তারা এমন করতেছে সবর না করে ।তারা কেউ কোনটা হালাল কোনটা হারাম এতো কিছু মানে না আমি একাই একটু মেনে চলার চেষ্টা করি তাই আমাকে এত কষ্ট দেয়।আমি dhaka hostel এ থাকতে পারি কিন্তু সেখানে নামাজ হয় না আমার ।তার বড় ভাইকে বলায় লিগাল গাডিয়ান বলে নম্বর দিছিল কিন্তু আমি সে নাম্বার এ কল করায় তারা আমাকে নিয়ে যায় নি এসে এভাবে আমি একা একটা সম্পক কিভাবে টিকিয়ে রাখব?

1 Answer

0 votes
by (648,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4506

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ঐ পাত্রের কাছ থেকে তালাক গ্রহণ করা ব্যতিত অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবেন না।  কাজেই যে কোনো মূল্যে যে কোনো পদ্ধতিতে তার কাছ থেকে আপনাকে তালাক নিতে হবে। প্রয়োজনে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে  দেখতে পারেন। যদি কোনো সদুত্তর পাওয়া না যায়, তাহলে কোর্টে মামলা দায়ের করে স্বামী কাছ থেকে তালাক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...