আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমি এক সময় ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম। প্রায় ১ বছর ধরে এত খারাপ রেজাল্ট হচ্ছে যে পরিবার আমার উপর অসন্তুষ্ট। আমি ইসলামেরর ফরজ আমল গুলো করার চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এই বুঝ আশার পর আমি দুনিয়াবি পড়াশুনা থেকে দুরে সরে যাচ্ছি। আমি একজন মেয়ে, হাই স্কুল অবধি আমার টপ রেজাল্ট হতো,,কারন আমার যে দুনিয়াবি গোল টা ছিল, ঐটা অনেক মোটিভেট করতো।ক্লাস ৬ থেকে এই গোল টা ছিল। কিন্তু কলেজ উঠার পর কিছু বুঝ আসছে দীন নিয়ে, কিন্তু আমি দুনিয়াবি সাকসেস নিয়ে ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছি।আমার কাছে এগুলো ভেলুলেজ লাগে। যদিও জানি আমার খারাপ রেজাল্ট এর জন্য অনেক খারাপ কিছু ফেইস করতে হবে। আমি পরতে পারি না,আর অলস হয়ে যাচ্ছি।মেয়েদের তো সব সেক্টর এ কাজ করা রিস্কি। আমার ঐ গোলটা বা ড্রিম জব টা এমন ই ছিল,, ওখানে আমার চান্স হলে পর্দা বিষয়ে বা বাকি বিষয়ে সমস্যা হবে এই বুঝ আসলে এখন এটা মটিভেট করে না,আর আমি পড়তেও পারি না। আর আমার উপর ফেমিলি এক্সপেকটেশনস আছে,যার জন্য আমি একাই বা তাদের বিভিন্ন কথা মানসিক কষ্টে আছি। তারা আবার আত্মীয়দের থেকে নানা কথা শুনে,,আগে ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম এখন কি হলো,,,আর খারাপ খারাপ বিষয় আন্দাজ করে,,, আমায় নিয়ে,,কিন্তু এমন কিছু না। আমি সারাদিন ফোনে শুধু শিধু স্ক্রল করতে থাকি, আমার পড়তে ইচ্ছা করে না। এতে আত্নীয় সজন ভুল বুঝে। আগে যে পরিমান বুঝদার ভাবতো এখন ভাবে না,তাদের আচরনেও পরিবর্তন আসছে। আমি দোয়া করতেছি,,, অনেক দিন ধরে,কিন্তু এদিকে কিছু হচ্ছে না,হয়গো আল্লাহ অন্য ভাবে কবুল করবেন। কিন্তু এখন আমার করনীয় কি? আমার দৈনন্দিন কোনো রুটিন ও নেই। কিছু করার স্পৃহা ও নেই। সারাদিন মন মরা থাকি। আমার ১০/১২ দিন আছে পরীক্ষার কিন্তু আমার কোনো কিছুই ফিল হয় না,শুধু বসে বসে সময় নষ্ট করছি। মোর দেন ৬ ইয়ার্স একটা জব নিয়ে ভাবতাম এখন এটা নাই বলে নতুন কোনো কাজের কথাও ভাবতে ইচ্ছা করে না। ভাবলেও পড়তে সাহায্য করে না। আমার ফেমিলি অনেক ইনবেস্ট করছে আমার জন্য। সামর্থের থেকেও বেশি,কিন্তু আমি কিছুই করতে পারি না,আমার গ্লিল্ট ফিল হয়,কিন্তু এসব জব পড়াশোনা ভেলুলেস লাগে।

আমায় দয়া করে কোনো উপায় আর গাইডলাইন দিন।

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13774/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

★ একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;

★এ শর্ত পুরোপুরি ভাবে মেনে যেকোনো কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া জায়েজ আছে।
,
সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যদি উপরোক্ত শর্ত মেনে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেন,সেক্ষেত্রে এভাবে পড়াশোনা থেকে দূরে থাকা, খারাপ রেজাল্ট করা মোটেও উচিত হচ্ছেনা।

এতে যেহেতু আপনার বাবা মা সহ পরিবারের সকলেই কষ্ট পাচ্ছে,তাই পরিবারের কথা মানার পরামর্শ থাকবে। 

আপনি ফরজ ইবাদত পূর্ণ ভাবে আদায় করার পাশাপাশি পরিবারের চাওয়ার দিক বিবেচনা করা যথাসম্ভব ভালোভাবে পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...