আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

১/আমার প্রায়ই ৪৮ মাইলের বেশি দুরুত্বে সফর করা হয়।তবে আমি যেই আবাসস্থল হতে যাত্রা শুরু করি এবং গন্তব্যস্থল উভয় জায়গায় আমি মুকিম হিসেবে গন্য হই। আমার প্রশ্ন উস্তাদ আমি কি যাত্রাপথে মুসাফির হিসেবে গন্য হবো? এবং পথে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে কি কসর আদায় করতে পারবো এবং কষ্ট হলে কি রোযা ভাঙ্গতে পারবো??

২/সফর অবস্থায় কখনো কখনো বাস কোথাও থামে না ফলে বাসেই সালাত পরতে হয়। এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করা যাবে কি না?

৩/বাস যদিও কোনো হোটেলে থামানো হয় কখনো কখনো কিন্তু সেখানে মেয়েদের আলাদা অযু করার জায়গা থাকে না ফলে পানি থাকলেও অযু করতে পারি না কারণ পর্দা নষ্ট হবে, এক্ষেত্রে করনীয় কি?আমি কি তায়াম্মুম করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
ago by (643,650 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনি যদি ৪৮ মাইল বা তারচেয়ে অধিক দুরুত্বের সফর করেন। আপনি যেই আবাসস্থল হতে যাত্রা শুরু করবেন এবং গন্তব্যস্থল, উভয় জায়গাতে আপনি মুকিম হলেও যাত্রাপথে আপনি মুসাফির হিসেবেই গন্য হবেন। তথা পথে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে আপনি কসর আদায় করবেন এবং কষ্ট হলে রোযাকে ভঙ্গ করতে পারবেন।

সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1281

কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429

ওয়াতানে আসলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/107

البحر الرائق شرح كنز الدقائق (2 / 138، 141):
"(من جَاوَزَ بُيُوتَ مِصْرِهِ مُرِيدًا سَيْرًا وَسَطًا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ في بَرٍّ أو بَحْرٍ أو جَبَلٍ قَصَرَ الْفَرْضَ الرُّبَاعِيَّ) ... قَوْلُهُ: (حتى يَدْخُلَ مِصْرَهُ أو يَنْوِيَ الْإِقَامَةَ نِصْفَ شَهْرٍ في بَلَدٍ أو قَرْيَةٍ)."
(২) সফর অবস্থায় যদি বাস কোথাও না থামে, তাহলে তায়াম্মুম করে বাসেই সালাত পরতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/573


(৩)
যদি শতচেষ্টার পরও কোনো মহিলা পর্দা সম্মত অজু ও নামাযের স্থান না পায়। এবং তখন অজুর তুলনায় তায়াম্মুমকে পর্দার জন্য সুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে মহিলা তায়াম্মুম করে নামাযকে আদায় করে নিবে। যেহেতু পর্দা সম্মত নামাযের ব্যবস্থার চেষ্টা সে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত করেছে, তাই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত ঐ নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না। বরং তা যিম্মা থেকে আদায় হয়ে যাবে।

কিন্তু যদি কেউ পর্দার সাথে অজু ও নামায পড়ার চেষ্টা ব্যতীত ওয়াক্তের প্রথমেই তায়াম্মুম করে নেয়,এবং ঐ তায়াম্মুম দ্বারা নামায আদায় করে নেয়, তাহলে এই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত নামাযকে পানি দ্বারা অজু সহ আবার পূনরায় আদায় করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1728


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 274 views
...