ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনি যদি ৪৮ মাইল বা তারচেয়ে অধিক দুরুত্বের সফর করেন। আপনি যেই আবাসস্থল হতে যাত্রা শুরু করবেন এবং গন্তব্যস্থল, উভয় জায়গাতে আপনি মুকিম হলেও যাত্রাপথে আপনি মুসাফির হিসেবেই গন্য হবেন। তথা পথে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে আপনি কসর আদায় করবেন এবং কষ্ট হলে রোযাকে ভঙ্গ করতে পারবেন।
البحر الرائق شرح كنز الدقائق (2 / 138، 141):
"(من جَاوَزَ بُيُوتَ مِصْرِهِ مُرِيدًا سَيْرًا وَسَطًا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ في بَرٍّ أو بَحْرٍ أو جَبَلٍ قَصَرَ الْفَرْضَ الرُّبَاعِيَّ) ... قَوْلُهُ: (حتى يَدْخُلَ مِصْرَهُ أو يَنْوِيَ الْإِقَامَةَ نِصْفَ شَهْرٍ في بَلَدٍ أو قَرْيَةٍ)."
(২) সফর অবস্থায় যদি বাস কোথাও না থামে, তাহলে তায়াম্মুম করে বাসেই সালাত পরতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/573
(৩)
যদি শতচেষ্টার পরও কোনো মহিলা পর্দা সম্মত অজু ও নামাযের স্থান না পায়। এবং তখন অজুর তুলনায় তায়াম্মুমকে পর্দার জন্য সুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে মহিলা তায়াম্মুম করে নামাযকে আদায় করে নিবে। যেহেতু পর্দা সম্মত নামাযের ব্যবস্থার চেষ্টা সে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত করেছে, তাই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত ঐ নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না। বরং তা যিম্মা থেকে আদায় হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি কেউ পর্দার সাথে অজু ও নামায পড়ার চেষ্টা ব্যতীত ওয়াক্তের প্রথমেই তায়াম্মুম করে নেয়,এবং ঐ তায়াম্মুম দ্বারা নামায আদায় করে নেয়, তাহলে এই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত নামাযকে পানি দ্বারা অজু সহ আবার পূনরায় আদায় করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1728