ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কুফুর শব্দের অর্থ হল, আল্লাহকে এবং আল্লাহর নিয়ামতকে অস্বীকার করা। আর শিরক অর্থ, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা। কুফুর হোক বা শিরিক, উভয়টা দ্বারাই বান্দা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়।
(২) ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
"وَفِي إِجْمَاعِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّدَى الْبَاقِي عَلَى أَعْضَاءِ الْمُتَوَضِّئِ وَالْمُغْتَسِلِ وَمَا قَطَرَ مِنْهُ عَلَى ثِيَابِهِمَا طَاهِرٌ : دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْمَاءِ الْمُسْتَعْمَلَِ"
অজু কারী এবং গোসল কারীর শরীরে যে পানি বাকী থাকে এবং যা টপকে টপকে কাপড়ে পড়ে,সেটা পবিত্র হওয়ার ব্যপারে সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।এটা প্রমাণ করে যে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। সুতরাং সেটা পবিত্রতাকে বিনষ্ট করবে না।(আল-আউসাত ফিস-সুনানি ওয়াল ইজমায়ি ওয়াল-ইখতেলাফি-১/২৮৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4195
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরজ গোসল করার জন্য, কলের নিচে বালতি রেখে অযু করার পর বালতিতে যদি অজুর পানি পরে, তাহলে এই পানিও ব্যবহৃত পানি হিসেবে বিবেচিত হবে। উক্ত পানি নিজে পবিত্র হলেও এদ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হবে না।
(৩) প্রশ্নের বিবরণমতে মনে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৪) ধুমপান মাকরুহে তাহরিমী। তবে এজন্য নামায কবুল না হওয়ার কোনো কারণ নাই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1899