ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ )
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)
ইবনে ক্বাসির রাহ তার তদীয় তাফসীর গ্রন্থের ১/৫৭২ পৃষ্টায় উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ
" ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱٍ ﻓﻲ ﺍﻵﻳﺔ : ﻳﻘﻮﻝ : ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺃﺣﺪٌ ﻋﻠﻰ ﺃﺣﺪٍ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻈﻠﻮﻣًﺎ ، ﻓﺈﻧّﻪ ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻭﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ : ( ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻇُﻠِﻢَ ) ، ﻭﺇﻥ ﺻﺒﺮ ﻓﻬﻮ ﺧﻴﺮٌ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
ইবনে আব্বাস রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ মাযলুম ব্যতীত কেউ কারো উপর বদদো'আ করতে আল্লাহ পচন্দ করেননা।তবে সর্বাবস্থায় ধর্য্য ধারণই উত্তম হবে।মাজলুম জালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের আয়োজনকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ঘটাকরে খরচাপাতি করার পর হুট করে বিয়েকে রিজেক্ট করে দেয়া, স্পষ্টত মেয়ের উপর জুলুম হয়েছে। আর মাজলুম সে আল্লাহর কাছে বিচার দায়ের করতেই পারে। সুতরাং আল্লাহর কাছে বলা আপনার এই কথাগুলো অনুচিত হয়নি। আপনি মাজলুম হিসেবে এই কথাগুলো বলতেই পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। পাত্র বিয়েকে এভাবে এগিয়ে নেয়ার পর মেয়ের জন্য আগত পরিস্থিতির কথা চিন্তা না করে হঠাৎ বিয়েকে রিজেক্ট করার জন্য অবশ্যই তাকে একদিন না একদিন আফসোস করতেই হবে। হয়তো আল্লাহ তা'আলা আপনার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।