বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়,তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ-
প্রথম অবস্থাঃ-
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয।এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দ্বিতীয় অবস্থাঃ-
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সুন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।(সূরা মায়েদা-০২)
অপরদিকে হানাফি উলামায়ে কেরাম বলেন, মাকরুহের সাথে জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/242
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাবালক নারীদের জন্য লেগিংস বা টাইট পোষাক তৈরী ও ক্রয়বিক্রয় মাকরুহ। তবে নাবালক বয়সের বাচ্চাদের জন্য তৈরীকৃত টাইট পোষাক তৈরী বা ক্রয়বিক্রয় মাকরুহ হবে না। যেহেতু ইসলাম শালীনতাকে পছন্দ করে, এবং ছোটকাল থেকেই শালীনতাকে আয়ত্বে নিতে হয়, তাই উচিত, এজাতীয় পোষাক ক্রয়বিক্রয় না করা এবং এবং নিজ পরিবারের শিশুদের জন্য ক্রয় না করা।