আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায।

আমি একজন মেয়ে  । আমি বিয়ের জন্য অনেক চেষ্টা করতেছি । প্রথমত আমি আমার দ্বীনের পথে সুদৃঢ় হতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ‌ওয়াটা খুব বেশি জরুরি মনে করতেছি । আমি যে সমস্যা অথবা পরিবেশ এর মধ্যে দিয়ে যাই, আমি মনে করি অবশ্যই একজন আল্লহ ওয়ালা দ্বীন দার জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে  আমি তা সমাধান পাবো ।যেমন আমাকে বিভিন্ন কারনে ঘর থেকে বের হতে হয় কখনো হয়তো  গুরুত্বপূর্ণ কাজে কখন ও হয়তো সামান্য কাজে কখনো হয়তো অন্যর জন্য ইচ্ছা না থাকলে ও বাধ্য হয়ে একপ্রকার যেতে হয় এমন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতা গুলো উচিত নয় তবুও ও আমাকে যেতে হয় যেমন হয়তো কারো সাথে ডাক্তার কাছে গিয়েছি তার প্রয়োজন এ কিন্তু আসার পথে সে শপিং মলে যাচ্ছে এমতা অবস্থায় আমি বাধ্য হয়ে যায় ,আবার এমন হয় কোথাও বেড়াতে গেলাম তারা সবাই মেলায় যাচ্ছে শুধু মাত্র আমি অন‌ইচ্ছুক কিন্তু পুরো ঘর ফাঁকা এবং অন্যর লোকেশন হ‌ওয়াতে আমি বাধ্য হয়েছি । এরকম অনেক সময় আমার এমন হয়। গীবত , সমালোচনা এগুলো থেকে বাঁচতে , দ্বীনের যেবিষয় গুলো মানতে কষ্ট হচ্ছে তা সাপোর্টিভ মানুষ পেতে , মোবাইল কম ইউজ , জৈবিক চাহিদা ,  পর্দা করে ও পরপুরুষের এর সামনে না যাইতে ,  অনেক সময় অল্প প্রয়োজন/ প্রয়োজন ছাড়া ও নন মাহরাম দের সাথে ২-১ টা কথা হয়ে যায় ,এটা থেকে  বাঁচতে । সফরের পথ গুলো তে আমাকে সময় দিবে এমন মাহরাম নেই ,বাবা ভাই নেই , মামা চাচারা আছে মাহরাম বলতে কিন্তু তারা যে আমার সফরের সঙ্গী হবেন এমন না,  আমার ভরন পোষন এর দায়িত্ব ও অনেক টুকু  এমন মানুষ এর মধ্যে যার দায়িত্ব নয় যে  আমার দায়িত্ব নেওয়া কিন্তু উনার মানবতা , ভালোবাসা  সততার জন্য দায়িত্ব পালন করেন যথেষ্ট , এক্ষেত্রে ও নিজের ভরন পোষন এর দায়িত্ব নিজের জীবনসঙ্গী নেয় , দ্বীন এর পথে ভালো করে চলতে যা আমি একা পারতেছি না একজন দ্বীন দার জীবনসঙ্গীর অনেক প্রয়োজন মনে করছি । শয়তান বারেবারে ওয়াস ওয়াসা দিচ্ছে আমার মনে  নন মাহরাম দের  কে নিয়ে । আল্লহর কাছে এজন্য দোয়া প্রার্থনা ও করতেছি । হারাম রিলেশন এ জড়াবো এমন নয় কিন্তু শয়তান অনেক ওয়াস ওয়াসা দেয় মনে নন মাহরাম কে নিয়ে চিন্তা ভাবনা কিংবা তাদের সাথে কথা বলাতে চাওয়া  । আমি এই সব থেকে বাঁচতে চাই । আমি অনেক বেশি করে একটা উত্তম জীবনসঙ্গীর  জন্য  একটা উত্তম বিয়ের জন্য  আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করতেছি এবং চেষ্টা ও করতেছি । আমার পরিবার জানেন এবং বুঝেন আমি তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাচ্ছি কিন্তু উনারা এত সিরিয়াস না ।আমার জন্য নিজ দায়িত্বে যে পাত্র দেখতেছেন এমন না তবে কোনো পাত্রপক্ষ প্রস্তাব দিলে  দেখেন বিষয় টা ।  কিন্তু আমি নিজ থেকে উনাদের অনেক বায়োডাটা দেখায় কিন্তু তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়না । কখনো হয়তো দেয় কখনো দেয়না ।একটা মেয়ে কতটা সিরিয়াস হলে / বিয়ের প্রয়োজনীয়তা বোধ করলে নিজেই নিজের বিয়ের জন্য অধিক চেষ্টা চালায় ।

উস্তাদ আমি কোনো প্রকার হারামে তো জড়াতে চাই এ না এবং কোনো নন মাহরাম এর সামনে ও আমি চাইনা সহজে যায় কিংবা কথা বলি । কিন্তু উস্তাদ এই ক্ষেত্রে আমি পারতেছি না ।কখনো হয়তো নফসে আম্মারার ধোঁকা কখনো হয়তো শয়তান এর ধোঁকা কখনো হয়তো পরিবেশ এর শিকার ।

উস্তাদ কথার ক্ষেত্রে হয়তো যেটা আমি বললে ও পারি না বললে ও পারি প্রয়োজনীয়তা এত নেই কিন্তু আমি এটা থেকে বাঁচতে চেয়ে ও পারিনা তখন আমার নফস আমাকে খুব প্রয়োজন মনে করায় এটাকে । কিন্তু এগুলো হলে আমি পরবর্তি তে অস্থির হয়ে যায় কারন নফস থেকে বাঁচতে পারি নাই অনেক ক্ষেত্রে কেউ হয়তো মজা করে কিছু একটা বললে এটার উত্তর দিয়ে ফেলি কিন্তু নন মাহরাম এর সাথে তো এসব একদম এড়িয়ে চলা লাগবে । আমি চাইনা এর কারনে আমার হালাল জীবনসঙ্গীর হক নষ্ট হোক তার জন্য নিজেকে হেফাজত রাখতে চাই এসব সমস্যা গুলো থেকে ও কিন্তু উস্তাদ আমি কি করতে পারি আমি হারাম সম্পর্কে ও জড়াতে চাইনা ( জড়াবো যে এমন ও না)  নন মাহরাম দের নিয়ে চিন্তা ভাবনা থেকে ও  বাঁচতে চাই যা আমাকে প্রতি নিয়ত অনেক কষ্ট দিচ্ছে উস্তাদ আমি অনেক করে চাচ্ছি আল্লাহর কাছে তিনি যেন আমার মনকে পবিত্র রাখেন নন মাহরাম এর চিন্তা ভাবনা থেকে ( বিয়ের উদ্দেশ্যে পারিবারিক ভাবে চাওয়া পাত্র  সেখানে আবার পারিবারিক ভাবেই রিজেক্ট করা হয়েছে তবুও আমার মন থেকে কোনো অবস্থাতেই সরাতে পারতেছেনি তাকে আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে যে চাচ্ছি তা ও না ,আমি কাউকেই নির্দিষ্ট করে চাচ্ছি না শুধু চাচ্চি যে আমার জন্য কল্যাণকর তাকেই আল্লহ যেন দ্রুত মিলিয়ে দেন কারন এসব চিন্তা ভাবনা আমার শূন্যতা এবং যা যা উল্লেখ করলাম উস্তাদ সব কিছু আমি অন্যরকম এক কষ্ট দিচ্ছে ,আমি আমার দ্বীনি পড়াশোনায় ও মন যোগ দিতে পারছিনা শুধু এই মুহূর্তে একটায় ব্যাপার এই আমার কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে মনে হচ্ছে আর তা হলো নিজের চরিত্র আখলাক হেফাজত করতে এবং  নিজের দ্বীনকে সবদিক থেকে পূর্ণ করতে  একজন দ্বীন দার কল্যানকর জীবনসঙ্গী  অনেক প্রয়োজন সর্বক্ষণ আমার মাথায় শুধু এটায় চলতেছে ,আমাকে পরামর্শ দিন উস্তাদ ।রোজা ,নফল নামাজ ,রুকাইয়া  ( বিয়ে বন্ধের সমস্যা ও পেয়েছিলাম আল্লহ ভালো জানেন ) রুকাইয়া করার পর আলহামদুলিল্লাহ যে সমস্যা ছিল আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছি ,দোয়া, আমল এগুলোর মাধ্যমে ও আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছি অনেক ।আমার সাধ্যমত সব ধরনের চেষ্টা করতেছি আল্লহ ভালো জানেন হয়তো কোনো কমতি ও থাকতে পারে  কাঙ্ক্ষিত মানের হয়তো করতে পারতেছি না ।

আফ‌ওয়ান উস্তাদ অনেক বড় করে লিখার জন্য ।

আর না পেরে আপনাদের কাছে শরণাপন্ন হয়েছি উস্তাদ আমাকে নসিহা করুন আমি কি করতে পারি ।এমন ধরতে পারেন উস্তাদ সব দিক থেকে শুধু আমার হালাল জীবনসঙ্গীর প্রয়োজনীয় অনুভব করতেছি ,পড়ালেখা , বাইরে যাওয়া , সফরে থাকা , খাওয়া দাওয়া,ঘুম   ,দ্বীন মানা  ইত্যাদি সবকিছু তে । আমি যে দ্বীনি হালত এ আছি আমার এই দ্বীনি হালত আরো যথেষ্ট মজবুত করতে হবে যা আমার কোনো সাপোর্টিভ কাউকে পাচ্ছি না ।আর আমি মনে করি একজন আল্লহ ওয়ালা জীবনসঙ্গী ছাড়া কেউই পারবেনা এবং সর্বোচ্চ ভাবে আমাকে সাহায্য করতে  আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে । পরিবার , আত্মীয় স্বজন দ্বীন না মানলে , ইসলামী বিধান না মানলে সেটা যদিও ও মেনে নেওয়া যায় কিন্তু নিজ জীবনসঙ্গী আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবেনা একসাথে জান্নাতে থাকবেনা এটা কোনো অবস্থাতেই মানা যায় না ।।তাই সব দিক থেকে বিয়েকে অনেক প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি ।

জাজাকাল্লহ খয়র

1 Answer

0 votes
by (613,830 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ঘরে থাকলে তাদের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার বিধান ইসলাম দিয়েছে। মা-বাবার কর্তব্য হচ্ছে মেয়েকে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যবস্থা না করেন তাহলে গুনাহগার হবেন। বিয়ের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না সময় যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তার মা-বাবা গুনাহগার হবেন না। মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যাপারে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের গুনাহ হবে, কোনো সন্দেহ নেই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

عن محمد بن عمر بن علي بن أبي طالب، عن أبيه، عن علي بن أبي طالب، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: " يا علي، ثلاث لاتؤخرها: الصلاة إذا آنت، والجنازة إذا حضرت، والأيم إذا وجدت لها كفئًا".

 (1 / 320، باب ما جاء في الوقت الأول من الفضل، ابواب الصلوٰۃ، ط:شركة مكتبة ومطبعة مصطفى البابي الحلبي - مصر)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ 
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার বিবাহের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আপনার পরিবারের মুরব্বিদের বুঝাবেন,আপনার মা,খালা,বড় বোন,ফুফু ইত্যাদিদের বুঝাবেন।
যাতে করে তারা আপনার বিবাহের জন্য আপনার বাবাকে রাজী করাতে পারে।

পাশাপাশি দ্রুত বিবাহের আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবে। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 167 views
...