ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
الإيلاء منع النفس عن قربان المنكوحة منعا مؤكدا باليمين بالله أو غيره من طلاق أو عتاق أو صوم أو حج أو نحو ذلك مطلقا أو مؤقتا بأربعة أشهر في الحرائر وشهر في الإماء من غير أن يتخللها وقت يمكنه قربانها فيه من غير حنث كذا في فتاوى قاضي خان فإن قربها في المدة حنث وتجب الكفارة في الحلف بالله سواء كان الحلف بذاته أو بصفة من صفاته يحلف بها عرفا وفي غيره الجزاء ويسقط الإيلاء بعد القربان وإن لم يقربها في المدة بانت بواحدة كذا في البرجندي شرح النقاية.
ইলা হল,কসমের মাধ্যমে বিবাহিত স্ত্রী থেকে নিজেকে চার মাস সময় উল্লেখ করে বা না করে দূরে রাখা। অথবা তালাক,গোলাম আযাদ,রোযা, হজ্ব ইত্যাদির সাথে সম্পর্কযুক্ত করে, চার মাস সময় উল্লেখ করে বা না করে, নিজেকে স্ত্রী থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এবং দাসীর বেলায় দুই মাস দূরে থাকার কসম করা।এখন এই সময়ের ভিতর স্ত্রীর নিকটবর্তী হলে, কসম ভঙ্গ হবে ও কাফফারা ওয়াজিব হবে। চায় আল্লাহর নাম দ্বারা কসম করা হোক বা সিফাত দ্বারা। তাছাড়া শর্ত ও জাযা( বিনিময়/প্রতিদান) উল্লেখ করলে, তখন বিনিময় ওয়াজিব হবে। উক্ত সময়ের ভিতরে স্ত্রীর নিকটবর্তী হলে, ইলা খতম হয়ে যাবে আর সময়ের ভিতর স্ত্রীর নিকটবর্তী না হলে, তখন এক তালাক বায়েন পতিত হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6302
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কসম ছাড়াও ই'লা হবে যদি শর্ত ও জাযা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
(২) আপনি কসম করে বলেছেন যে, স্ত্রীকে আনতে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনি তো সহবাস না করার কসম করেননি, তাই ই'লা হবে না।
ولو قال وهو بالبصرة: والله لا أدخل الكوفة وامرأته بها لم يكن موليا كذا في الهداية.(الفتاوي الهندية:١/٤٨٤)
(৩) কসম করা ছাড়া কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে না বলে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে দিনের পর দিন সহবাসও না করে, তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।