بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/40861/ নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
প্রশ্নে উল্লেখিত হোস্টেলের নিয়মাবলীতে
যেহেতু লেখা আছে যে ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা যাবেনা,আর আপনি নিয়ম পড়েই সেই হোস্টেলে উঠেছেন,তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উক্ত হোস্টেলে থাকা
অবস্থায় ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়,তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে। উল্লেখ্য, হোস্টেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অনুমতির কথা বললে তিনি
আপনাকে বলেছেন যে, "তুমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করো আর ধরা পড়লে কাউকে আমার কথা বইলো নাহ"।
সুতরাং তার এহেন কথার ভিত্তিতে উক্ত
হোস্টেলে ওয়াটার হিটার ব্যবহার বৈধ হবেনা। এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়ার শামিল। হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ:
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ
مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা,
হাদীস নং-২৩১৪৭,
সহীহ মুসলিম,
হাদীস নং-১৬৪,
সুনানে দারেমী,
হাদীস নং-২৫৮৩,
সুনানে ইবনে মাজাহ,
হাদীস নং-২২২৫,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী,
হাদীস নং-২৮৯০,
শুয়াবুল ঈমান,
হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেকোনো শর্ত মানার উপর ওয়াদাবদ্ধ
হলে শরীয়াহ কোনো ফরজ ওয়াজিব জাতীয় কাজের খেলাফ না হলে সেই শর্ত মেনে চলা আপনার জন্য আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে
উল্লেখিত হোস্টেলের নিয়ম যেহেতু শরীয়াহ খেলাফ নয়,তাই উক্ত শর্ত মানতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
১. শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ
তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। সুতরাং প্রিন্সিপাল স্যার যেকোনো ধরনের ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার
করতে নিষেধ করার কারণে কোনো ইলেকট্রিক জিনিস (ইলেকট্রিক চুলা, ওয়াটার হিটার ইত্যাদী)
ব্যবহার করা জায়েয হবে না। এতে গুনাহ হবে।
২. যদি আসলেই আপনাদের কাছে কোন ইলেকট্রিক জিনিস
না থাকে এবং আপনারা বাস্তবিক অর্থেই এজাতীয় জিনিস ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে গুনাহ
হবে না। অন্যথায় মিথ্যা বলার গুনাহ হবে। রান্না করা নিষেধ করার পর রান্না করাও জায়েয
হবে না।