আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

১.আমাদের হোস্টেলে বিদুৎবিল বেশি আশায় প্রিন্সিপাল স্যার যেকোনো ধরনের ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। এমতাবস্থায় যেকোনো ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার করলে কি গুনাহগার হবো?

২. হোস্টেলে অনেকে রান্না করে খায় যার কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে । তাই আমাদের ম্যাডাম যাদের কাছে ইলেকট্রিক জিনিস আছে তাদের নামের লিস্ট চেয়েছেন । সাধারণত আমাদের ব্যাচ থেকে খুব কম সংখ্যক মানুষ রান্না করে । তাই আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা রান্না করবো না আর ম্যাডাম কে বলব আমাদের কারো কাছে কোনো ইলেকট্রিক জিনিস নেই । এক্ষেত্রে কি আমার বিষয়টা  মিথ্যা বলে গণ্য হবে? আর আমরা কি গুনাহগার হবো ?

1 Answer

0 votes
by (70,410 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/40861/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

প্রশ্নে উল্লেখিত হোস্টেলের নিয়মাবলীতে যেহেতু লেখা আছে যে ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা যাবেনা,আর আপনি নিয়ম পড়েই সেই হোস্টেলে উঠেছেন,তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উক্ত হোস্টেলে থাকা অবস্থায় ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়,তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে। উল্লেখ্যহোস্টেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অনুমতির কথা বললে তিনি আপনাকে বলেছেন যে, "তুমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করো আর ধরা পড়লে কাউকে আমার কথা বইলো নাহ"।

সুতরাং তার এহেন কথার ভিত্তিতে উক্ত হোস্টেলে ওয়াটার হিটার ব্যবহার বৈধ হবেনা। এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়ার শামিল। হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

আপনি যেকোনো শর্ত মানার উপর ওয়াদাবদ্ধ হলে শরীয়াহ কোনো ফরজ ওয়াজিব জাতীয় কাজের খেলাফ না হলে সেই  শর্ত মেনে চলা আপনার জন্য আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত হোস্টেলের নিয়ম যেহেতু শরীয়াহ খেলাফ নয়,তাই উক্ত শর্ত মানতে হবে।   

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। সুতরাং প্রিন্সিপাল স্যার যেকোনো ধরনের ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার করতে নিষেধ করার কারণে কোনো ইলেকট্রিক জিনিস (ইলেকট্রিক চুলা, ওয়াটার হিটার ইত্যাদী) ব্যবহার করা জায়েয হবে না। এতে গুনাহ হবে।  

২. যদি আসলেই আপনাদের কাছে কোন ইলেকট্রিক জিনিস না থাকে এবং আপনারা বাস্তবিক অর্থেই এজাতীয় জিনিস ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে গুনাহ হবে না। অন্যথায় মিথ্যা বলার গুনাহ হবে। রান্না করা নিষেধ করার পর রান্না করাও জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...