আসসালামু আলাইকুম, আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।
১) বেদীন কাওকে বিয়ে করলে গুনাহ হবে কিনা? যেহেতু হাদিসে দীনদারিতাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে?
২) স্ত্রী যদি দীনদার না হয়, সে যদি পর্দা না করে, হালাল-হারাম মেনে না চলে, এ ক্ষেত্রে কি স্বামীর ও গুনাহ হবে? যদি স্বামী তাকে এসব থেকে দূরে থাকতে বলে তাও যদি স্ত্রী বিরত না থাকে তাহলেও কি গুনাহ হবে কিনা স্বামীর?
৩) স্ত্রীর বেপর্দায় চলা থেকে স্বামী যদি বাধা দেয়, কিন্তু স্ত্রী যদি না মানে তবুও, সেক্ষেত্রে কি স্বামী দাইয়্যুস হবে?
৪) জেনেশুনে বেদীন কাওকে বিয়ে করা উচিত হবে কিনা?
৫) অনেক মেয়ে পুরোপুরি পর্দা না করলেও মুখে মাস্ক পড়ে মুখ ঢেকে রাখে, সাধারণ বোরকা পড়ে এভাবে কি তাদের পর্দা হয়? এখন দেখা যায় যে মুখে মাস্ক লাগালে মেয়েদের আরো আকর্ষণীয় দেখা যায় বেশি। সেক্ষেত্রে কি পর্দা হবে?
৬) মেয়েরা যদি বোরকার মধ্যে যেকোনো এক কালারের বোরকা পড়ে, কালো কালার বাদে; যেমন গোলাপী রঙ বা যেকোনো এক কালারের বোরকা পড়লে কি পর্দা হবেনা?
৭) মেয়েরা যদি পর-পুরুষের সামনেও সালোয়ার কামিজ পড়া থাকে, তবে মুখ ঢাকা থাকে সেক্ষেত্রে মেয়ের কি গুনাহ হবে?
৮) বর্তমানে অনেক মেয়ে বাসায় সালাত আদায়ের জন্য ঢিলেঢালা আলাদা পোশাক বানাউ, দেখা যায় সালোয়ার কামিজ পড়া থাকলেও, অল-ওভার প্রিন্টের একটা জিলবাব জাতীয় কিছু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে এটা কি জায়েজ আছে?
৯) মেয়েরা কি তাদের মামা শ্বশুর, আপন মামা এদের সাথে টুকটাক কথাবার্তা যেমন, কেমন আছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন কিনা এই ধরণের কথা বলতে পারবে?
১০) বেদীন কাওকে বিয়ে করলে স্ত্রী যদি গান শুনে, পর্দা না করে, এইসবের জন্য কি সরাসরি স্বামীর ও গুনাহ হবে কিনা? এটা সাধারণ অবস্থার কথা জানতে চাচ্ছি, স্বামী যদি স্ত্রীকে নিষেধ ও না করে বিরত থাকতে না বলে। সেক্ষেত্রে বিধান কি?
১১) পুরোপুরি প্র‍্যাক্টিসিং নয় এমন কেও- যেমন হয়তো নামাজ/রোজা করে, কিন্তু পর্দার ব্যাপারে শুধু মুরুব্বিদের সামনে পড়লেই বা কোনো পুরুষের সামনে পড়ে গেলে জাস্ট মাথায় কাপড় দেয়, বা শরীর একটু ঢেকেঢুকে রাখে এমন মেয়ে বিয়ে করা যাবে? যেহেতু বর্তমান জামানায় কেউ-ই পুরোপুরি দ্বীনদার নয়। সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিয়ের পরও শরয়ী পর্দা না করে সেক্ষেত্রে স্বামীর গুনাহ হবে কিনা?