হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمُلَقَّبُ، مَرْدَوَيْهِ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ رَافِعٍ، وَبَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَحْدَثَ - يَعْنِي الرَّجُلَ - وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلاَتُهُ "
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি যদি নামাযের শেষে (তাশাহহুদের জন্য) বসে সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম করে তবে তার নামায জায়িয হবে (নতুন করে আদায় করতে হবে না)।
আবূ দাউদ (২৬, ১৮১)
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ وَقَدِ اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَادِهِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . قَالُوا إِذَا جَلَسَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ وَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يَتَشَهَّدَ وَقَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِذَا لَمْ يَتَشَهَّدْ وَسَلَّمَ أَجْزَأَهُ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ " وَالتَّشَهُّدُ أَهْوَنُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي اثْنَتَيْنِ فَمَضَى فِي صَلاَتِهِ وَلَمْ يَتَشَهَّدْ . وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِذَا تَشَهَّدَ وَلَمْ يُسَلِّمْ أَجْزَأَهُ . وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ حِينَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ فَقَالَ " إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ هُوَ الإِفْرِيقِيُّ وَقَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ .
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। এর বর্ণনাকারীগণ তাদের বর্ণনায় গরমিল করেছেন। এ হাদীসের ভিত্তিতে একদল মনীষী বলেছেনঃ তাশাহহুদ পাঠের পরিমাণ সময় বসার পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হলে নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। অপর একদল মনীষী বলেছেনঃ যদি তাশাহহুদ ও সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হয় তবে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম শাফিঈ একথা বলেছেন। ইমাম আহমাদ বলেছেন, যদি তাশাহহুদ পাঠ না করে সালাম ফিরানো হয় তবে নামায হয়ে যাবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নামাযের সমাপ্তি ঘোষণা হল সালাম " আর তাশাহহুদ এমন কোন জরুরী বিষয় নয়। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহহুদ না পাঠ করেই দ্বিতীয় রাকাআত থেকে উঠে দাড়ালেন এবং নামায পূর্ণ করলেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেছেন, তাশাহহুদ পাঠের পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে (বাতকর্ম হলে) নামায জায়িয হবে। তিনি ইবনু মাসউদের হাদীসকে তার মতের সমর্থনে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দেওয়ার সময় বললেনঃ
إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ
“যখন তুমি এটা পাঠ করে অবসর হলে, তখন তোমার দায়িত্ব শেষ হল।”
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের এক রাবী আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদকে হাদীসবিশারদগণ দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ও আহমাদ ইবনু হাম্বল তাদের মধ্যে আছেন।)
(তিরমিজি ৪০৮)
إِذَا قَضَی الْإِمَامُ الصَّلَاةَ وَقَعَدَ فَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ یَتَکَلَّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ وَمَنْ کَانَ خَلْفَهُ مِمَّنْ أَتَمَّ الصَّلَاةَ.
যদি ইমাম সালাত আদায় করে বসে থাকে এবং কথা বলার আগেই অযু ভেঙ্গে যায়, তবে তার সালাত পূর্ণ হয়ে গেছে এবং যার পিছনে রয়েছে তাদের সকলের নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে।
إِذَا أَحْدَثَ یَعْنِي الرَّجُلَ وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلَاتِهِ قَبْلَ أَنْ یُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلَاتُهُ.
أبي داود، السنن، 1: 167، رقم: 617، دار الفکر
ترمذي، السنن، 2: 261، رقم: 408، بیروت، لبنان: دار احیاء التراث العربي
সারমর্মঃ সালাম ফিরানোর পূর্বেই যদি অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।
۔
عن علی بن أبي طلق رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إذا فسا أحدکم في الصلاۃ فلینصرف فلیتوضأ ولیعد صلا تہ۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۱۴۴ رقم: ۱۰۰۵)
কাহারো যদি নামাজের মধ্যে বায়ু বের হয়,তাহলে সে অযু করার জন্য যাবে।
এবং নামাজ পুনরায় আদায় করবে।
إذا سبقہ الحدث بعد ما قعد قدر التشہد في القعدۃ الأخیرۃ، فإن صلا تہ تامۃً فرضاً عندہما، وعند أبي حنیفۃؒ لم تتم صلا تہ فرضاً فیتوضأ ویخرج منہا بفعل مناف لہا۔ (البحر الرائق، ۲۹۵/١)
সারমর্মঃ শেষ বৈঠলে তাশাহুদ পরিমাণ পর্যন্ত বসার পর অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে তার নামাজ পূর্ণ হবেনা।
অযু করে এসে অবশিষ্ট নামাজ আদায় করবে।