জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রমজানের কাজা রোজা, সাধারণ মানত, কাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।
(সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩)
২. আর রমজান মাসের রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".
সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী, ১৮০২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি প্রথমে এভাবে নিয়ত করছিলেন "যে আগে ৫টা কাযা রোযা করব, তারপর শাওয়ালের ৬ রোযা রাখব"
৫ম রোযার দিন আপনি মনে মনে ভেবেছিলেন যে যে আজ থেকে কাযা রোযা শেষ, শাওয়ালের রোযা শুরু করব।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে ৫ম রোযাটি আপনার কাজা রোযা হিসেবেই আদায় হবে।
(০২)
শাওয়ালের রোযার নিয়ত ফজরের পর করলে সেটা গণ্য হবে।
শাওয়ালের রোযা যেহেতু নফল রোযা,তাই এই রোযার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে সেই আত্মীয় যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হলে তাকে দেয়া যাবে।
টাকা আপনার নয়,এটি উল্লেখ করা আবশ্যক নয়। শুধুমাত্র ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।
কোন কোন আত্মীয়কে যাকাত ও হারাম টাকা দান করা যায়না,এ সংক্রান্ত জানুনঃ-