আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
১। সফররত অবস্থায় কেবলা ঠিক রেখে বাস/ট্রেনের সিটে বসে নামাজ আদায় করলে, সে নামাজ সহীহ হবে? না পরে আবার আদায় করে নিতে হবে?
২। সফর কালে জরুরী ওযুর বিধান কি ? তায়মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে?

৩। সফরকালে কোন ওয়াক্ত চলে গেলে, বিশেষত এশার জামাতের সময় চলে যাবার পর কেউ ঘরে ফিরলে এবং ঘরে ফিরে (রাত ১১/১২টায়) স্বামী স্ত্রী একত্রে জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করতে পারবে কিনা?
৪। কোন নফল নামাজ স্বামী স্ত্রী একত্রে জামাতে আদায় করতে পারবে কিনা? স্ত্রীর কি কোন সুরতে ইমাম হবার সুযোগ আছে? যদি হাফেজা/আলেমা হয়?

৫। মাসবুক আত্তাহিয়াতু সুরতে বসে তাশাহুদ, দরুদ পড়বে না চুপ থাকবে?

৬।  স্ত্রী নফল আমালে অতিরিক্ত উতসাহিত তবে স্বামীর খেদমত ও সাংসারিক দায়িত্বপালনে কম আগ্রহী হলে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (638,760 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।

গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । 

যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে কিংবা নামায অবস্থায় কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে ।
(প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৮  ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ-২ /১২০) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/573


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সফররত অবস্থায় কেবলা ঠিক রেখে বাস/ট্রেনের সিটে বসে নামাজ আদায় করলে, সেই নামাজ আবার আদায় করে নিতে হবে। কেননা দাড়ায়ি নামায পড়া হয়নি। 

(২) সফরকালেও অজু করে নামায পড়তে হবে। তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে না।

(৩) সফরকালে কোন ওয়াক্ত চলে গেলে, বিশেষত এশার জামাতের সময় চলে যাবার পর কেউ ঘরে ফিরলে এবং ঘরে ফিরে (রাত ১১/১২টায়) স্বামী স্ত্রী একত্রে জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করতে পারবে। 

(৪) নফল নামাজ স্বামী স্ত্রী একত্রে জামাতে আদায় করতে পারবে না।  স্ত্রীর ককনো  ইমাম হতে পারবে না। 

(৫) মাসবুক আত্তাহিয়াতু সুরতে বসে তাশাহুদ পড়বে। দুরুদ পড়বে না। এত ধীরগতিতে পড়বে যে, ইমাম তাশাহুদ, দুরুদ সবকিছু শেষ করে নিবে।

"من جملتها أنه قیل: إذا فرغ المسبوق من التشهد قبل سلام الإمام یکرره من أوله، وقیل: یکرر کلمة الشهادة، وقیل: یسکت، وقیل: یأتي بالصلاة والدعاء، والصحیح أنه یترسل لیفرغ من التشهد عند سلام الإمام". (کبیري، ص: ۴۴۱)

(৬)  স্বামীর খেদমত ও সাংসারিক দায়িত্বপালনে বেশী আগ্রহী হওযার চেষ্টা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...