আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
706 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
১) সাদাস্রাব হলে ওযু ভাঙবে না এই মত সম্পর্কে জানতে চাইছি। আমার দিনে  হলেও এক ওয়াক্তে স্বালাত আদায়ে দুইবার ওযু করতে হয়, এটা অনেক কষ্টের,স্বালাত আদায়ে অনিচ্ছা চলে আসে এজন্য। আমি যদি অন্য মতটা ফলো করি তবে কি সমস্যা হবে? অন্য মতটির ভিত্তি কী বিস্তারিত জানতে চাইছি।

২) স্বালাতের মাঝে আসঙ্কা হয় হয়তো সামান্য প্রস্রাব বেরিয়েছে, তবে নিশ্চিত না থাকায় স্বালাত শেষ করি। স্বালাত বড় হওয়ায় পড়া শেষে কাপড় চেক করে নাপাকি এসেছে কি না নিশ্চিত হতে পারি না। এক্ষেত্রে কি পরিষ্কার হয়ে আবার এই স্বালাত পড়তে হবে?

৩) স্বালাত পড়ার ঠিক ঠিক পরেই যদি কাপড় চেক করে সাদাস্রাব দেখি, যা স্বালাতের সময়ই হয়তো বের হয়েছে, তাহলে কি এই স্বালাত দোহরাতে হবে?

জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সাদা স্রাব হলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা,এটি কিছু আলেমের মত।  
এটি নির্ভরযোগ্য মত নয়।
,
জমহুর আলেমের মতে, এটি ওজু ভঙ্গকারী। যদি কারো ক্ষেত্রে এটি লাগাতরভাবে বের হতে থাকে তবে তার ক্ষেত্রে ‘প্রস্রাবে অসংযম’ রোগীর বিধান প্রযোজ্য হবে। এমন নারী প্রতি ওয়াক্তের নামাযের জন্য নতুন করে ওজু করবেন এবং এ ওজু দিয়ে ফরজ বা নফল যত রাকাত নামায পড়তে চান পড়ে নিবেন, কুরআন শরিফ স্পর্শ করতে পারবেন। এ সময় স্রাব নির্গত হতে থাকলেও কোন অসুবিধা নেই।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,সাদা স্রাব নিঃসরণ বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই   সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর।
আপনি প্রতি ওয়াক্তে একবার অযু করে সেই ওয়াক্তে 
ফরজ বা নফল যত রাকাত নামায পড়তে চান পড়তে পারবেন।

আর যদি আপনার ওযর এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

আরো জানুনঃ 

বিখ্যাত হাদিসবেত্তা হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ -

ইব্রাহীম ইবনু মাখলাদ আত-তালিকানী ....... হাবীব হতে এই হাদিছটি অনুরূপ সনদে বর্ণিত আছে যে, রক্ত প্রদরের রোগিণীদের প্রত্যেক নামাযের সময় উযু করতে হবে।
,
(০২)
যদি আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমানীত হোন,তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
,
 যদি আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমানীত না হোন,তাহলে আপনি  সাদা স্রাব বের হওয়ার উপর নিশ্চিত  না হতে পারলে আপনার সালাত আদায় হয়েছে বলে ধরে নিবেন।
পুনরায় আদায় করার দরকার নেই।
,
(০৩)
যদি আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমানীত না হোন,তাহলে উক্ত সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 381 views
0 votes
1 answer 257 views
...