মৃত্যুর অল্প সময় পূর্বে এবং মওতের আলামত প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে যদি তাওবা করে তখন তার তাওবা কবুল হবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ
(إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ)
‘‘আল্লাহ্ তাআলা বান্দার তাওবা ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করেন, যতক্ষণ না তার মৃত্যুর গড়গড়ানী শুরু হয়’’।
(তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তাওবা।)
বান্দা যখন মালাকুল মাওতের ভয়াবহ চেহারা দেখবে, তার রূহ বক্ষদেশ থেকে বের হয়ে কন্ঠণালীতে পৌঁছে যাবে এবং মরণের গড়গড়ানী শুরু হবে ও প্রাণ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে, তখন কোন প্রকার তাওবা কবুল হবে না এবং মৃত্যু হতে পলায়নের কোন সুযোগও থাকবে না।
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
(وَلاَتَ حِينَ مَنَاصٍ)
‘‘কিন্তু তখন পরিত্রাণের কোন উপায় ছিল না’’। (সূরা সোয়াদঃ ৩) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
(وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الآنَ)
‘‘আর তাদের জন্য ক্ষমা নেই, যারা ঐ পর্যন্ত পাপ করতে থাকে যখন তাদের কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলেঃ নিশ্চয়ই আমি এখন তাওবা করছি’’। (সূরা নিসাঃ ১৮)
বনী আদমের যখন মওতের টান এসে যায় এবং মালাকুল মাওতকে চোখের সামনে উপস্থিত দেখতে পায় তখন তার জন্যে তাওবার সুযোগ শেষ হয়ে যায়। এ সময় তাওবা করলেও কোন কাজ হবে না। যেমন আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُوْلَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করবেন যারা ভুল বশতঃ মন্দকাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে, এরাই হলো সে সব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন’’। (সূরা নিসাঃ ১৭)
আপনার জন্য তওবার দরজা খোলা আছে। কোন সমস্যা নেই। আপনি নিশ্চিন্ত মনে তওবা করতে পারেন।
স্বপ্নে কাউকে দেখে তাকে আজরাইল আঃ মনে করে এর দরুন তওবার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে এমনটি বিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই।
সারাজীবন পরিপূর্ণ ভাবে নামাজ রোযা আদায় ও যাকাত হজ্জ (এ দুটি ফরজ হলে) পূর্ণ আদায় স্ত্রী হলে স্বামীর হক আদায়,স্বামী হলে স্ত্রীর হক আদায়,বান্দার হক আদায় ও শরীয়তের যাবতীয় বিধিনিষেধ মানার পাশাপাশি
https://ifatwa.info/54844 নং ফতোয়াতে উল্লেখিত চারটি গুন নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
তাহলেই মহান আল্লাহ তায়ালা বিনা হিসেবে সহজেই জান্নাতে দিবেন,ইনশাআল্লাহ।
আর প্রত্যাহ নামাজের পর মৃত্যুর কষ্ট ও কবরের আযাব থেকে ক্ষমা চাইবেন,ইস্তেঞ্জার পর পূর্ণ পবিত্রতা গ্রহণ করবেন।