বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একদিন হযরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু দরবারে উপস্থিত সবাইকে বললেন, যে ব্যক্তি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র প্রশংসায় যথাযোগ্য কবিতা আবৃত্তি করবে, আমি তাকে প্রতিটি কবিতার বিনিময়ে হাজার দিনার দান করব।
উপস্থিত কবিগণ হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র শানে কবিতা আবৃত্তি করে প্রচুর পুরষ্কার লাভ করলেন। কিন্তু হযরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু প্রতিটি কবিতা ও ছন্দ শ্রবণ করার পর বলতেন- علیّ افضل منہ (আলীয়্যুন আফদ্বালু মিনহু) অর্থাৎ, “আলী এর চেয়েও অনেক উত্তম”। অতঃপর উক্ত মজলিসে আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র প্রশংসায় এমন একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন, যা হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র নিকট পছন্দ হল, ফলে ঐ কবিতার বিনিময়ে উক্ত কবিকে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সাত হাজার দিনার পুরষ্কার প্রদান করলেন।
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সিফ্ফীনের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সম্পর্কে ইরশাদ করেন-
ایھا الناس لا تکرہ امارۃ معاویۃ فانکم لوفقد تموہ رایتم الرؤس تنذر عن لواھلھا کانّما الحنظل-
অর্থাৎ, “হে লোক সকল! তোমরা আমীরে মুয়াবিয়ার শাসন এবং নেতৃত্বকে অপছন্দ করোনা”। যদি তোমরা তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দাও, তবে তোমরা দেখবে ধড় থেকে মাথা এমন ভাবে কেটে পড়েছে, যেভাবে হান্জল (এক প্রকারের তিক্ত ফল) গাছ থেকে পতিত হয়।
[সূত্রঃ আল-বিদায়া; ৮ম খন্ড, ১৩১ পৃঃ।]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমীরে মুওয়াবিয়া সম্পর্কে এগুলো মিথ্যা অভিযোগ।এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন-
তাকী উসমানি লিখিত
আদালতের কাঠগড়ায় হযরত মুওয়াবিয়া।