আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমি ইতেকাফে বসছি। রোজার প্রথম দিকে আমার মাসিক হয়ে গিয়েছে। প্রথম ৪টা রোজা রাখতে পারিনি অপবিত্রতার দরুন। এখন শেষ ১০ দিন ইতেকাফে বসছি।  তবে আজ ইফতারে পর এশা এর একটি আগে বাথরুমে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করার সময় হালকা একটু লাল দেখছি। তবে তা কোন রাস্তা থেকে পড়ছে সঠিক জানি না।  কিছু দিন ধরে শরীর কিছুটা কড়া হওয়ায় নাক থেকে রক্ত পড়ছে। এখন শরীর কড়া হওয়ার দরুন কি আমার বাথরুমের রাস্তা থেকে রক্ত পড়লো নাকি আবার ও মাসিক হলো,  বুঝতে পারছি না। এখন এই অবস্থায় আমার করনীয় কি? আামর ইতেকাফে কি ভেঙে গেছে? নাকি ঠিক আছে? আর ঐটুকুই হালকা রক্ত দেখছি আর কিছু নাই। এখন আমার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ

ওয়াহব  ইবন  বাকীয়্যা ......... আয়েশা  (রাঃ)  হতে  বর্ণিত।  তিনি বলেন,  ই‘তিকাফের  জন্য  সুন্নাত  এই  যে,  সে  যেন  কোন  রোগীর  পরিচর্যার  জন্য  গমন  না  করে,  জানাযার  নামাযে  শরীক  না  হয়,  স্ত্রীকে  স্পর্শ  না  করে  এবং  তার  সাথে  সহবাস  না  করে।  আর  সে  যেন  বিশেষ  প্রয়োজন  ব্যতীত  মসজিদ  হতে  বের  না  হয়।  রোযা  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  নেই  এবং  জামে  মসজিদ  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  শুদ্ধ  নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)

আল্লামা কা'সানি রাহ বলেন,
وَلَوْ حَاضَتْ الْمَرْأَةُ فِي حَالِ الِاعْتِكَافِ فَسَدَ اعْتِكَافِهَا
যদি এ'তেকাফ অবস্থায় মহিলার হায়েয চলে আসে তাহলে তার এ'তেকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
বাদায়ে সানায়ে-২/১১৬

ইতেকাফ ভেঙ্গে গেলে শুধু উক্ত দিনের (একরাত এক দিন) ইতেকাফ কাজা আদায় করতে হবে।
সেদিন রোযাও আদায় করতে হবে।
এটাই রাজেহ কওল। 
পূর্ণ মাসনুন ইতেকাফের কাজা আদায় করা আবশ্যকীয় নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২৪৮,নাজমুল ফাতওয়া ৩/২৭৮))
,
আরো জানুনঃ- 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এই রক্ত ৩ দিন ধরে আসে,বা ১০ দিনের মধ্যে আবারো আসতে থাকে,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ।
এমতাবস্থায় আপনার ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে।

এক্ষেত্রে পরবর্তীতে রোযা সহ শুধু এক দিন এক রাতের ইতেকাফ কাজা আদায় করতে হবে।

আর যদি এই রক্ত ৩ দিন ধরে না আসে,বা ১০ দিনের মধ্যে আবারো না আসতে থাকে,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ নয়।
এমতাবস্থায় আপনার ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবেনা।

আপনি ইতেকাফ চালিয়ে যাবেন।, কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
এর ৫ দিনের মাথায় আজ বাদ ফজর আবার একটু লাল স্রাব দেখছি। হয়তো হায়েজ শুরু হয়েছে। এখন আমার করণীয় কী?  আগের রোজা গুলো ও কি কাজা করতে হবে? কাফফারা করতে হবে? নাকি রোজা গুলো হয়ে গিয়েছে ধরতে হবে?  আর ইতেকাফ তো ভেঙ্গে গেল? তবে আমি বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে,  সকালে বাদ ফজর একটু দেখছি আর ১২ টার দিক একটু দেখছি, আর কিছু নাই।  রোজা ভেঙে গেছে? কোনো কারনে শরীর কড়া হওয়ার দরূন এমন হচ্ছে কি?
by (611,730 points)
রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে হবে আর আপনার এতেকাফ ভেঙ্গে গিয়েছে সুতরাং উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে একদিন এক রাতের এতেকাফ কাজ আদায় করতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...